সারাবিশ্বের মত বাংলাদেশে জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল পালন করলো "বিশ্ব আইবিডি দিবস"। জাকজমক র্যালী এবং বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অত্র হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সাইফুদ্দৌলা।
আই বি ডি কে সহজ ভাষায় "পরিপাকতন্ত্রের প্রদাহ" বলে যাকে দুইটা ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। একটি "ক্রন্স ডিজিস" এবং অন্যটি "আলসারেটিভ কোলাইটিস" নামে পরিচিত।
"ক্রন্স ডিজিস" অংশটি মুখগহ্বর থেকে শুরু করে পায়ুপথ পর্যন্ত যে কোনো স্থানে সংক্রমণ করে। বিভিন্ন উপসর্গের মাধ্যমে এই রোগটির অস্তিত্ব ধারণা করা যায় যেমন দীর্ঘদিনের পাতলা পায়খানা, পেট ব্যাথা, পেট ফুলে ওঠা, শরীরের ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি। "আলসারেটিভ কোলাইটিস" অংশটি বৃহদান্ত্রের সংক্রমণ। পায়খানার সাথে রক্ত আসা বা দীর্ঘদিনের পাতলা পায়খানা নিয়ে সাধারণত রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে আসেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাকজমকপূর্ণ র্যালী অনুষ্ঠিত হয়।পরবর্তীতে "আপডেটেট ম্যানেজমেন্ট অন আইবিডি" শিরোনামে হয় আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় হাসপাতালের পরিচালকসহ উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. তৌহিদ করিম মজুমদার, যুগ্ম পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাসুদুর রহমান, প্রতিথযশা গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট সহযোগী অধ্যাপক ডা. রয়েস উদ্দিনসহ বাংলাদেশের স্বনামধন্য গ্যাস্ট্রোএন্টালজিস্টবৃন্দ। ডা. রয়েস উদ্দিন বলেন "আইবিডি সচেতনতা বৃদ্ধিতে গ্যাস্ট্রোএন্টেরলজিস্টদের পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে কারণ এই রোগ শুধুমাত্র পরিপাকতন্ত্রে সীমাবদ্ধ না ও থাকতে পারে।" সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. এম. এম. মোশফিকুর রশিদ জানান "জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল শুধুমাত্র আইবিডি চিকিৎসার সুব্যবস্থার জন্য প্রতি সোমবার আইবিডি ক্লিনিক পরিচালনা করে আসছে যেখান থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। আইবিডি নিরাময়যোগ্য না হলেও নিয়ন্ত্রনযোগ্য, তাই সচেতনতা বৃদ্ধিতে আমরা সচেষ্ট"।
সারাবিশ্বে এই দিবসটি অন্ত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পালিত হয়। পশ্চিমা বিশ্বের সংক্রমণের মাত্রা এতটাই বেশি ছিলো যে একটা সময় ধারণা করা হতো এটা পশ্চিমের রোগ। কিন্তু বিগত দশকে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশে বাড়ছে আই বি ডি রোগী৷ বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল আইবিডি সচেতনতা বৃদ্ধিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
আমার বার্তা/জেএইচ