জুলাইয়ে প্যারিসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া অলিম্পিক গেমসের আগে শহরটিতে বসবাসরত অভিবাসীদের সরিয়ে নিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে শহরটির পুলিশ। অভিবাসীদের জনসাধারণের দৃষ্টি থেকে সরিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে শহরের অভিবাসী ক্যাম্পগুলো ফাঁকা করা হচ্ছে। তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো আশঙ্কা করছে, এতে করে উচ্ছেদকৃতরা আরো প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে।
অলিম্পিক গেমস শুরু হওয়ার ঠিক ১০০ দিন আগে বুধবার প্যারিসের পুলিশ শহরের দক্ষিণ উপকণ্ঠের ‘ভিট্রি-সুখ-সেইন’ এলাকার একটি বড় অভিবাসী ক্যাম্প উচ্ছেদ করে। একটি পরিত্যক্ত বাস কম্পানির কার্যালয়ের সামনে খালি জায়গায় স্থাপিত অস্থায়ী ক্যাম্পটিতে প্রায় ৪৫০ জন অভিবাসী ছিল। যাদের অধিকাংশই ছিলেন যুবক-যুবতী। তবে তাদের সঙ্গে কয়েকজন মা ও শিশু ছিল বলেও জানা গেছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, উচ্ছেদকৃত অধিকাংশ অভিবাসীর থাকার বৈধ অনুমোদন রয়েছে। তারা সামাজিক আবাসন প্রকল্পের আওতায় বাড়ি বরাদ্দের জন্য অপেক্ষা করছিল।
২৬ জুলাই থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত অলিম্পিক গেমসের আগে শহরটিকে ‘পরিষ্কার’ করার উদ্দেশে যাদের এখন বের করে দেওয়া হচ্ছে, দীর্ঘমেয়াদে তাদের আবাসন খুঁজে পেতে সমস্যায় পড়তে হবে বলে আশঙ্কা করছে সংস্থাগুলো।
মানবিক সংগঠন ‘মেদিসি দু মোন্দ’-এর সদস্য পল আলুজি বলেন, ‘ফ্রান্সে স্কু ছিল সবচেয়ে বড় অভিবাসী ক্যাম্প। অলিম্পিকের জন্য গত এক বছরে এর আকার প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
নগর কর্তৃপক্ষ অলিম্পিক ভিলেজের পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে অভিবাসীদের সরিয়ে দেয়। অনেক গৃহহীন মানুষ এখানে আশ্রয় নেয়।’
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আরো কয়েক দিন ধরে উচ্ছেদ অভিযান চালু থাকবে।
প্রায় ৩০০ জনকে বুধবার জোরপূর্বক সরিয়ে নেওয়া হয়। আগের রাতে আরো ১৫০ জন অন্যত্র চলে যায়। উচ্ছেদকৃতদের অনেককে ফ্রান্সের অন্যান্য শহরে নেওয়ার জন্য বাসে তোলা হয়েছিল। কিছু গোষ্ঠী উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, এই উচ্ছেদ অভিযান স্কুল থেকে উৎখাত করা স্কুলপড়ুয়া শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
আমার বার্তা/এমই