ইসরাইলের ভূখণ্ডে গত মঙ্গলবার রাতে প্রায় ২০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এতে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতিতে উত্তেজনা বেড়েছে। চলমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ ইসরাইলের পক্ষে জোরালো সমর্থন দিচ্ছে।
এমন আবহে ইরানে হামলা চালাতে পশ্চিমাদের সম্পৃক্ততার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত এবং জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি আমির সাইদ ইরাভানি।
তার ভাষ্য, যদি কোনো কোনো দেশ ইরানে হামলা চালাতে ইসরাইলকে সহায়তা করে; তাহলে তেহরান ওই দেশকে ইসরাইলে সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করবে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে মেহের নিউজ।
আমির সাইদ ইরাভানি মার্কিন সংবাদমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমাদের প্রতিক্রিয়া আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। যদি কোনো দেশ আগ্রাসী ইসরাইলকে সাহায্য করে, সেই দেশটিকে অপরাধের সাথে জড়িত এবং বৈধ লক্ষ্য হিসাবে বিবেচিত হবে।
ইরানি দূত আরো বলেন, ‘আমাদের পরামর্শ হল তারা যেন ইসরাইলি সরকার ও ইরানের মধ্যে সংঘর্ষে না জড়ায় এবং যুদ্ধ থেকে দূরে থাকে’।
ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) মঙ্গলবার রাতে সামরিক অভিযানের অংশ হিসেবে তেল আবিবে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার নাম দেওয়া হয় অপারেশন ট্রু প্রমিজ-২।
আইআরজিসি বলেছে, তারা হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ এবং আইআরজিসি জেনারেল আব্বাস নীলফরউশানকে হত্যার বদলা হিসেবে ইসরাইলে হামলা চালিয়েছে।
আইআরজিসি আরো বলেছে, এই অভিযান জাতিসংঘের সনদ অনুসারে দেশটির বৈধ আত্মরক্ষার অধিকারের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। এটি লেবানন ও গাজার জনগণের বিরুদ্ধে - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে ইসরাইলের ক্রমবর্ধমান অপরাধের প্রতিক্রিয়া।
আমার বার্তা/জেএইচ