যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) বলছে, সিরিয়ায় বিদ্রোহীরা আলেপ্পো দখলের পর আরও অগ্রসর হয়েছে। অন্যদিকে তাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলেপ্পোর একটি হাসপাতালে বিমান হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ইদলিবের উত্তর পশ্চিমে এক হামলায় আরও আটজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে এসওএইচআর।
ইদলিবের গ্রামীণ এলাকা ছাড়াও হামা’র যেসব এলাকার নিয়ন্ত্রণ বিদ্রোহীরা নিয়েছে সেখানেও হামলা করেছে রাশিয়া। পর্যবেক্ষকদের উদ্ধৃত করে বলছে বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরুর পর এবারই প্রথম সিরিয়ার সরকার আলেপ্পোর ওপর নিয়ন্ত্রণ হারালো।
গত বুধবার থেকে বিদ্রোহীদের এই বিস্ময়কর নতুন অভিযান শুরু হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে এটাই সেখানে বড় ধরনের লড়াই। বিদ্রোহীদের অভিযানের নেতৃত্বে আছে ইসলামপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম এবং তাদের সঙ্গে যোগসূত্র আছে এইচটিএস তুরস্ক সমর্থিত এমন কয়েকটি উপদল।
এখন পর্যন্ত ২০ জন বেসামরিক নাগরিকসহ তিনশোর বেশি মানুষের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে এসওএইচআর। ২০১৬ সালের পর এবারই প্রথম রুশ যুদ্ধবিমান আলেপ্পোতে হামলা চালালো।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ যখন মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল তখন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতায় রাখতে রাশিয়ার বিমান বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
এসওএইচআর জানিয়েছে, রোববার ইদলিবের একটি শরণার্থী শিবিরে রাশিয়ার বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে।
উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় এই শহরে এইচটিএস এখন নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় আছে। এছাড়া আলেপ্পো ইউনিভার্সিটি হাসপাতালেও হামলা হয়েছে। শহরের অন্য অংশগুলোকেও হামলার টার্গেট করা হয়েছে।
বিবিসি বলছে, বিরোধী যোদ্ধারা সেখানকার সবগুলো শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে। শুধু কিছু এলাকা বাকি আছে যেগুলো কুর্দি বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করছে। পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য শহর থেকে সরকারি বাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। বিদ্রোহীরা আলেপ্পো থেকে এখন দেশটির চতুর্থ বৃহত্তম শহর হামার দিকে অগ্রসর হচ্ছে।