ইরানের পাশাপাশি এবার ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী হুতি। শনিবার (১৪ জুন) রাতভর ইরানের পাশাপাশি ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে দেশটি। আক্রমণের ফলে ইসরায়েলিরা বারবার আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যেতে বাধ্য হয়। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদন বলা হয়, দ্বিতীয় দিনের মতো ইরানের বেসামরিক ও জ্বালানি অবকাঠামোতে ইসরায়েলের বোমা হামলার পর ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মধ্যেই শনিবার রাতে ইসরায়েলে হামলা চালায় ইয়েমেনের হুতিরা। এটা গত এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা।
হুতি হামলার কথা নিশ্চিত করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় এলাকাগুলোকে লক্ষ্য করে ইয়েমেন থেকে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। হুতি বিদ্রোহীরাও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আল মাসিরাহ টিভিতে প্রচারিত এক বিবৃতিতে হুতি জানিয়েছে, ইরানি সামরিক বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে এই হামলা চালানো হয়েছে এবং এতে বেশ কয়েকটি ফিলিস্তিন-২ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১০ জুন) তারা ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। ওইদিন এক ঘোষণায় গোষ্ঠীটি জানায়, তারা দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এর জবাবে ইসরায়েল হুতিদের দখলে থাকা ইয়েমেনের হোদেইদা বন্দরে বিমান হামলা চালায়।
ইসরায়েলবিরোধী অবস্থানকে আরও জোরালো করে হুতির শীর্ষ নেতা আবদুল মালিক আল-হুতি বলেছেন, ইসরায়েলকে প্রতিহত করা ও তার আগ্রাসন ঠেকানো শুধু একটি দেশের দায়িত্ব নয়, বরং পুরো অঞ্চলের স্বার্থেই তা অত্যন্ত জরুরি।
তিনি আরও বলেন, শত্রুকে প্রতিহত করা এবং তার দমন-পীড়ন ও লঙ্ঘনের অপমার্জন বন্ধ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা পুরো অঞ্চলের দেশগুলোর জন্যই উপকারী।
গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে গত প্রায় দেড় বছর ধরে তারা নিয়মিতভাবে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে। তবে গত মার্চ মাসে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি হওয়ার পর হুতিরা হামলা চালানো বন্ধ করে। কিন্তু ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করলে তারা আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে।
আল জাজিরা জানায়, শনিবার ইরানি হামলার জেরে পুরো ইসরায়েলে সাইরেন বেজে উঠে। জেরুজালেম ও হাইফা শহরের আকাশেও ক্ষেপণাস্ত্র দেখা যায়। বাসিন্দাদের সুরক্ষিত স্থানে যেতে বলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)।
আমার বার্তা/জেএইচ