
ফিলিপিন্সের পর ভিয়েতনামে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী টাইফুন কালমায়েগি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। টাইফুনের কারণে শতাধিক ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি কম্বোডিয়া ও লাওসের দিকে আগ্রসর হচ্ছে।
এদিকে কালমায়েগির আঘাতে ফিলিপিন্সে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৮ জন। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। দেশজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অব্যাহত আছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ভিয়েতনামের মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানে টাইফুন কালমায়েগি। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৪৯ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হওয়া ঝড়ের প্রভাবে দাক লাক ও গিয়া লাই প্রদেশে বিধ্বস্ত হয় বহু ঘরবাড়ি।
কয়েকজনের প্রাণহানির খবরও পাওয়া গেছে। দেশটির সাতটি শহর ও প্রদেশে প্রবল বন্যা ও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানায় জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দফতর।
কালমায়েগির আঘাতের আগেই পূর্বপ্রস্তুতি নেয় তাইওয়ান কর্তৃপক্ষ। সামরিক বাহিনীর প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার সদস্য, ৬ হাজার ৭০০ যান এবং ছয়টি বিমান মোতায়েন করা হয়। টাইফুনের কারণে ছয়টি বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় শতাধিক ফ্লাইট বাতিল বা বিলম্বিত হয়েছে।
গত সোমবার (৩ নভেম্বর) মধ্যরাতে ফিলিপিন্সের মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানে টাইফুন কালমায়েগি। এরপর স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে টাইফুনটি সেবু ও নেগরোস দ্বীপ অতিক্রম করে। সেবু প্রদেশে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি।
এ সময় বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার। কোথাও কোথাও তা ১৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছায়। প্রচণ্ড বেগের বাতাস ও প্রবল বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে পুরো সেবু দ্বীপ। এই দুর্যোগে গত মঙ্গলবার মাত্র দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। তবে এরপর দ্রুতই বেড়েছে মৃতের সংখ্যা।
সবশেষ তথ্য মতে, কালমায়েগির তাণ্ডবে ফিলিপিন্সে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানায়, টাইফুনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ছয় হাজারের বেশি ঘরবাড়ি।
পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য সরকারি স্থাপনা। বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় বহু এলাকায় স্কুল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। দেশজুড়ে জারি আছে জরুরি অবস্থা।
আমার বার্তা/এল/এমই

