বিশ্বব্যাপী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবটের জনপ্রিয়তা বাড়লেও চীনা চ্যাটবট "ডিপসিক" আবারও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। এবার ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য অবৈধভাবে চীনে পাঠানোর অভিযোগ তুলেছে জার্মানির তথ্য সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ।
বার্লিনের তথ্য কমিশনার মেইক কাম্প সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলেন, “ডিপসিক অ্যাপ ব্যবহারকারীদের তথ্য সুরক্ষার গুরুতর ঝুঁকি রয়েছে। তাদের ব্যক্তিগত তথ্য অনুমতি ছাড়া চীনে স্থানান্তর করা হতে পারে।”
তিনি গুগল ও অ্যাপলের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, যেন জার্মান অ্যাপ স্টোর থেকে এই চ্যাটবট অ্যাপটি অবিলম্বে সরানো হয়।
এটাই প্রথমবার নয়। এর আগে অস্ট্রেলিয়া, ইতালি এবং দক্ষিণ কোরিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণ দেখিয়ে ডিপসিক অ্যাপের ব্যবহার সীমিত বা নিষিদ্ধ করেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত ডাটা সুরক্ষা নিয়ে ডিপসিকের স্বচ্ছতার অভাব এবং তথ্য ব্যবহার নীতির অস্পষ্টতা এই নিষেধাজ্ঞার মূল কারণ।
চলতি বছরের শুরুতে ডিপসিক আলোচনায় আসে যখন তারা দাবি করে, “অন্যান্য চ্যাটজিপিটি বা জেমিনি ধরনের চ্যাটবটের তুলনায় কম খরচে উন্নত এআই মডেল” তৈরিতে সক্ষম হয়েছে।
তবে তথ্য গোপনীয়তা ও সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে বিতর্ক।
এআইভিত্তিক অ্যাপ ও টুলের ডেটা প্রসেসিং ও নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতিমধ্যেই কঠোর অবস্থান নিয়েছে। বিশেষ করে জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেসব অ্যাপ ইউজার ডেটা সংগ্রহ করে তৃতীয় দেশে পাঠায়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে ইইউ।
ডিপসিক এখন ইইউর জেনারেল ডেটা প্রটেকশন রেগুলেশন ভঙ্গের অভিযোগের মুখে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, ডিপসিকসহ অন্যান্য অস্বচ্ছ এআই অ্যাপ ব্যবহারের আগে ডেটা শেয়ারিং এবং প্রাইভেসি পলিসি ভালোভাবে পর্যালোচনা করা উচিত।
আমার বার্তা/জেএইচ