রাজধানীর ছয়টি থানায় দায়ের হওয়া পৃথক আটটি মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক বিমানমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খানসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন ।
এই ছয় মামলার অন্য নতুন আসামিরা হলেন, পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঝালকাঠি-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান ওমর, তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিটু, সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হক ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শরীফুর রহমান এ আদেশ দেন। এর আগে কারাগার থেকে তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। আদালত তাদের আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত ১৯ জুলাই মিরপুর-১৩ এর নিউ মডেল কলেজের সামনে রাব্বি মাতবর হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আনিসুল হক, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আর ২৩ জুলাই রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় নাসির হোসেন হত্যা মামলায় আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।
একইসময় গত ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানার সামনে পারবেজ মিয়া হত্যা মামলায় শমসের মুবিনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আর রাজধানীর বনানী থানাধীন মহাখালী কাঁচা বাজার এলাকায় গুলি করে হত্যাচেষ্টার মামলায় শাহজাহান ওমরকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় গত ৫ আগস্ট আল আমিন হত্যা মামলায় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিটুকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।
২০১৫ সালে রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় মেয়রের নির্বাচনের প্রচারণা চালানোর সময়ে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় সাবেক মন্ত্রী কর্ণেল (অব.) ফারুক খানকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।
নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় সাবেক সচিব মহিবুল হক ও পিপলস পার্টির বাবুল সরচার চাখারীকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। আর রাজধানীর কাফরুল থানাধীন পুলিশ স্টাফ কলেজের বিপরীতে ৫ আগস্ট আব্দুল হান্নান হত্যায় চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।
গত ১৩ আগস্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১৪ অক্টোবর দিনগত রাতে ঢাকার বাসা থেকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১৭ অক্টোবর রাজধানীর বনানী ডিওএইচএস’র বাসা থেকে শমসের মবিনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। ৩ সেপ্টেম্বর পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ১৬ আগস্ট রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২১ নভেম্বর নিজের গাড়ি বহরে হামলা ও ভাংচুরের মামলা করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন শাহজাহান ওমর।
আমার বার্তা/জেএইচ