বিচার বিভাগ, পুলিশ, নির্বাচন কমিশন (ইসি), রাজস্ব বোর্ড ও ভূমি নিবন্ধনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান সংস্কার করতে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সমর্থন চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়াসে এবং ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিপ্লবের ফল সত্যিকার অর্থে জনগণকে উপভোগ করতে সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশের প্রধান প্রতিষ্ঠানগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার চালু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২৮ আগস্ট) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধান উপদেষ্টার এসব কথা বলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশে অবিলম্বে সুদূরপ্রসারী ডিজিটালাইজেশন প্রয়োজন। যাতে সহজে একজন নাগরিক কর দিতে পারে এবং কোনো ঝামেলা ছাড়াই জমি ও সম্পত্তি বিক্রয় নিবন্ধন করতে পারে।
অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূস বলেন, একটি আধুনিক পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলতে এবং দেশে আইনের শাসন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রয়োজন।
তিনি বলেন, তার সরকার বিচার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশনের সংস্কারের জন্য ইউএনডিপির সহায়তাও চাইবে।
ইউনূস বলেন, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ছাত্র-জনতা বিপ্লবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের খুঁজে বের করতে হবে কিভাবে সিস্টেমগুলোকে পুনর্গঠন করা যায়।
ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি লিলার বিস্তৃত সংস্কারের জন্য পূর্ণ সমর্থনের প্রস্তাব দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ইউএনডিপির দীর্ঘ সহযোগিতা রয়েছে কিন্তু আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার কারণে তাদের তহবিলের অনেকটাই ধীর হয়ে গেছে।
বৈঠকে উপস্থিত ইউএনডিপি কর্মকর্তারা বলেছেন, সংস্থাটি বাংলাদেশের রফতানি বহুমুখীকরণ প্রচেষ্টা, সবুজ রূপান্তর, ব্যবসা সহজীকরণে সহায়তা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করতে প্রস্তুত।
আমার বার্তা/এমই