সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, ভবিষ্যতে ফ্যাসিবাদী শাসনের আশঙ্কা মোকাবেলার উপায় হচ্ছে শক্তিশালী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং তা স্থায়ী করা। ক্ষমতাসীনদের জবাবদিহিতার জন্য প্রতিষ্ঠান তৈরি ও সেগুলোর স্বাধীনতা নিশ্চিত করাও জরুরি।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে সকালে সংসদ ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা জানান।
আলী রীয়াজ বলেন, সংস্কার নিয়ে সারা দেশের মানুষের মতামত নেওয়া হয়েছে। লিখিত বক্তব্য দিয়েছে ২৫টি রাজনৈতিক দল ও তিনটি জোট। এছাড়াও সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি ও সংবিধান বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্টদের মতামত পর্যালোচনা করেই প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় স্থানীয় পর্যায় থেকে শাসনব্যবস্থার সর্বস্তরে নাগরিকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। তাদের প্রতিনিধিত্বকে কার্যকর করে তুলতে হবে।
প্রতিবেদনে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান আদর্শ এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনস্বরূপ সংবিধান ও রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, বহুত্ববাদ ও গণতন্ত্র’ প্রস্তাব, প্রধানমন্ত্রীর পদের ক্ষমতা হ্রাসসহ সাতটি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ক্ষমতার প্রাতিষ্ঠানিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা, অন্তবর্তী সরকার কাঠামোর সুনিদিষ্ট প্রস্তাবসহ মৌলিক অধিকারের আওতা সম্প্রসারণের প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানান ড. আলী রীয়াজ।
২১ বছর হলেই নির্বাচন করতে পারবে বলেও মত দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান।
এদিকে, ছয় সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো নিয়ে অধিক পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্যের কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
আমার বার্তা/এমই