ই-পেপার বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

বাংলাদেশে এখনো ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যায়নি

আমার বার্তা অনলাইন
২৫ মার্চ ২০২৫, ১২:০৮
আপডেট  : ২৫ মার্চ ২০২৫, ১৩:২৭
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিল একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে আইনের শাসন থাকবে, মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত হবে এবং একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে এখনো ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যায়নি। দীর্ঘদিন ধরে এদেশের মানুষকে তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। দুর্নীতি, লুটপাটতন্ত্র ও গুম-খুনের রাজত্ব চালিয়ে দেশে একটি ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা কায়েম করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাধীনতা যুদ্ধে সব বীর শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে তিনি বলেন, তাদের আত্মত্যাগের কারণে আমরা একটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার স্বপ্ন দেখার সুযোগ পেয়েছি। এ সুযোগ আমরা কোনোক্রমেই বৃথা যেতে দেব না।

তিনি বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে আমাদেরকে মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে, মরণোত্তর পুরস্কার দেওয়ার চাইতে জীবদ্দশায় পুরস্কার পেলে যে আনন্দ, দেশের জন্য, পরিবারের জন্য, ব্যক্তির জন্য; তা মরণোত্তর পুরস্কারে পাওয়া যায় না। যাকে আমরা সম্মান দেখাচ্ছি তিনি আমাদের সঙ্গে নেই।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা যেন আগামীতে একটা নিয়ম করতে পারি, যাদের মরণোত্তর পুরস্কার দেওয়ার তাদের পালা শেষ করে দিয়ে যারা জীবিত অবস্থায় আছেন তাদেরকে যেন পুরস্কার দেই। তাদের প্রতি সম্মানটা আমরা দেই। তারা আমাদের জাতিকে মহান উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। পুরস্কার দিয়ে আমরা শুধু তাদেরকে সম্মানিত করছি না। আমরা বরং জাতি হিসেবে নিজের সম্মান তাদের মাধ্যমে পাচ্ছি। তারা প্রত্যেকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বহুল পরিচিত। তারা জাতির জন্য অনেক কিছু দিয়ে গেছেন। তাদের জীবদ্দশায় স্মরণ করতে না পারলে আমরা অকৃতজ্ঞ জাতি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যাবো। যাদেরকে আমরা এই সম্মান দিতে চাই, যথাসময়ে আমরা যেন তা দেই।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান বলেন, কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এই বছর সরকার ছয় জন বিশিষ্ট নাগরিককে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করেছে। তারা সবাই বাংলার সূর্যসন্তান।

পুরস্কারপ্রাপ্তদের স্মরণ করে প্রফেসর ইউনূস বলেন, অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম একজন বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী। পৃথিবীর নামকরা সব বিজ্ঞানীরা তাকে চেনেন। তিনি সবসময় প্রকৃতি ও মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত ছিলেন। আল মাহমুদ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম উজ্জ্বল কবি। তার কবিতা বহু কবি, লেখক, পাঠককে অনুপ্রাণিত করেছে। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘ব্র্যাক’-এর প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় ও এর পরবর্তী সময়ে তিনি বাংলাদেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। লন্ডনের ফ্ল্যাট বিক্রির টাকা দিয়ে তিনি ব্র্যাক গড়েছিলেন। প্রান্তিক গরিব মানুষের জীবনমান উন্নয়নসহ বহুমুখী কাজে ব্র্যাক এখন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

লেখক ও বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন উমরকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার সম্মাননা স্মারক আমাদের পরের প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত থাকবে। বাংলার সঙ্গীত ও আর্টের দুই উজ্জ্বল নক্ষত্র আজম খান ও নভেরা আহমেদ। পূর্ব বাংলায় নভেরার হাতেই প্রথম ভাস্কর্যের উদ্বোধন হয়। তিনি আধুনিক ভাস্কর্যের পথিকৃত। আর বাংলা পপ গানের সম্রাট আজম খান মহান মুক্তিযুদ্ধে গান গেয়ে এদেশের তরুণদের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। তিনি সমাজের বঞ্চিত মানুষের জন্য গান করেছেন। আজম খান দেশের হাজারো তরুণ সংগীতশিল্পীর আইকন। যে জেন-জি প্রজন্ম, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের অনুপ্রেরণার নাম বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। সে ন্যায়বিচারের জন্য, বাকস্বাধীনতার জন্য জোরালো প্রতিবাদ করে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয়েছিল। তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জানাতে পেরে আমরা গর্বিত।

যারা আজ এ সম্মাননা পেলেন তারা জীবদ্দশায় এ প্রাপ্তি দেখে যেতে পারেননি, এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজকের দিনে তাদের অবদানকে আমরা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি। এই সূর্যসন্তানদের স্মৃতির প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। আমি তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

ড. ইউনূস বলেন, জাতীয় জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে আজ আপনাদের স্বজনরা সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পেয়েছেন। দেরিতে হলেও তাদেরকে এই স্বীকৃতি ও সম্মান প্রদান করতে পেরে আমরা আনন্দিত। তাদের কাজ যুগ যুগ ধরে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তরুণদের মধ্যে অনুপ্রেরণা ছড়িয়ে দেবে।

আমার বার্তা/জেএইচ

প্লট-ফ্ল্যাট হস্তান্তরে বাতিল হলো পূর্বানুমতির শর্ত, গেজেট প্রকাশ

প্লট বা ফ্ল্যাটের মালিকানা হস্তান্তর (বিক্রয়, দান বা বন্ধক) প্রক্রিয়ায় দীর্ঘদিনের জটিলতা ও দুর্নীতি দূর

রাজসাক্ষী আবজালুলের জবানবন্দিতে ৬ লাশ পোড়ানোর রোমহর্ষক বর্ণনা

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার দিনে ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় ছয় মরদেহ পোড়ানোসহ

শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিতে সেনা সহযোগিতা জরুরি: ড. ইউনূস

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর ও আনন্দময় করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা প্রয়োজন বলে মন্তব্য

যুবদল নেতা হত্যা, শীর্ষ সন্ত্রাসী পাতা সোহেলসহ গ্রেপ্তার ২

রাজধানীর পল্লবী থানার যুবদলের সদস্য সচিব গোলাম কিবরিয়া হত্যা মামলায় দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্লট-ফ্ল্যাট হস্তান্তরে বাতিল হলো পূর্বানুমতির শর্ত, গেজেট প্রকাশ

শ্রম আইন সংশোধন : যা যা জানা জরুরি

রমজানের আগেই বাড়ছে ছোলা-খেজুরসহ ৬ ভোগ্যপণ্যের আমদানি

একদিকে রায় অন্যদিকে মবক্রেসি, কিসের আলামত জানি না

সুনামগঞ্জের ছাতকে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১৫

ক্লাউডফ্লেয়ার ডাউন, কোটি টাকার ক্ষতি

আমরা ট্রানজিশনাল পিরিয়ডে আছি- দোলাচল চলছে: ফখরুল

গণভোটের রূপরেখা দ্রুত চায় এনসিপি: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

আদানি গ্রুপের সঙ্গে সালিশি কার্যক্রমে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা

কেউ ভোট হাইজ্যাক করতে চাইলে যুবক হয়ে বিস্ফোরিত হবো

ডিসি-এসপিদের লটারির মাধ্যমে বদলির দাবি জামায়াতের

গাজীপুরে কয়েল কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট

প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষার জটিলতা নিরসনে আপিল করবে মন্ত্রণালয়

রাজসাক্ষী আবজালুলের জবানবন্দিতে ৬ লাশ পোড়ানোর রোমহর্ষক বর্ণনা

শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিতে সেনা সহযোগিতা জরুরি: ড. ইউনূস

সাত কলেজ শিক্ষকদের দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি চলছে

বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে দেড় লাখ জনসংখ্যার কুরাসাও

যুবদল নেতা হত্যা, শীর্ষ সন্ত্রাসী পাতা সোহেলসহ গ্রেপ্তার ২

‘ইচ্ছামতো’ আইন-বিধি সংশোধন করায় ইসির প্রতি ক্ষোভ জোনায়েদ সাকির

সাংবাদিক সোহেলের সঙ্গে ব্যক্তিগত বা পেশাগত কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই: তৈয়্যব