ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনে মারাত্মক ভাবমূর্তি সংকটে পড়ে পুলিশ বাহিনী। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে পুলিশকে ঢেলে সাজানোর কাজ করছে। এখন পুলিশ অনেক মানবিক জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, পুলিশ এখন ভালো ব্যবহার করায় অনেকে ভাবে তারা আগের মতো সক্রিয় না।
রোববার (১৫ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে উপদেষ্টা প্রথম কর্মদিবসে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন পুলিশ হলো মানবিক পুলিশ, এজন্য লোকজন ভাবতেছে পুলিশ সচল হয় না। যেহেতু ভালো ব্যবহার করে, এজন্য ভাবতেছে পুলিশ (ইনঅ্যাকটিভ); কিন্তু আগের থেকে আরও বেশি অ্যাকটিভ।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন যদি আগের ১৫ বছরের মতো ভাবেন- দুটা পিট্টি মারলো, পুলিশ খুব সচল। আমরা সেই পুলিশ চাচ্ছি না। আমরা তো মানবিক পুলিশ চাচ্ছি। সবার সাথে ভালো ব্যবহার করবে। পুলিশের কাজ হবে- দুটা বাড়ি মারবা, দুটা লাথি মারবা; আমরা ওই পুলিশ চাচ্ছি না। আমরা চাচ্ছি মানবিক পুলিশ, এজন্য ভাবতেছে পুলিশ সচল হয় না। পুলিশ এখন আগের থেকে বেশি অ্যাকটিভ।’
আগামী নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ প্রস্তুত কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের ডেটটা তো ফিক্স করবে ইনফ্যাক্ট নির্বাচন কমিশন। উনারা যেই সময় ফিক্স করবে, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ওই সময় তারা প্রস্তুত। যেকোনো অবস্থায় পুলিশ প্রস্তুত আছে।’
সীমান্তে পুশ-ইন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এ ব্যাপারে বহুবার বলা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ হয়েছে। ভারতীয় হাই কমিশনার আমাদের অফিসেও এসেছিলেন। কথা হয়েছে। বাংলাদেশের নাগরিক যদি ভারতে থেকে থাকে, তাহলে প্রোপার চ্যানেলে পাঠাও; আমরা নিয়ে নেব। জঙ্গলের ভেতরে ফেলে যাওয়া, নদীর উপরে ফেলে দেওয়া, লেইকের উপর ফেলে দেওয়া এটা কিন্তু সভ্য দেশের হওয়া উচিত না।’
র্যাবের পোশাকে ‘নগদের’ এক কোটি আট লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে আমরা খুবই কনসার্ন। আমরা সর্বোচ্চভাবে চেষ্টা করতেছি- এটার সাথে যেই জড়িত থাকুক, আমরা খুব যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যেন আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারি।’
আমার বার্তা/এমই