ই-পেপার শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী বিশ্ব ব্যবস্থা

রায়হান আহমেদ তপাদার:
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৩

বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রচারের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিশ্রুতি তা কখনোই ওয়াশিংটনকে সামরিক স্বৈরশাসক এবং স্বৈরাচারি শাসকদের সমর্থন করতে বাঁধা দেয়নি। অথচ ওয়াশিংটনের নীতি ছিল এতে বাঁধা দেওয়া। স্নায়ুযুদ্ধের সময়কালে, উন্নত পুঁজিবাদী বিশ্বের কাছে একের পর এক আত্মসমর্পণ করে এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার উন্নয়নশীল দেশগুলো। সে সময় ওয়াশিংটন এবং তার মিত্রদের হতে এসব উন্নয়নশীল দেশ ব্যাপক সামরিক কর্তৃত্ববাদের শিকার হয়। আজও সে পরিস্থিতি ভিন্ন কিছু নয়। ঔপনিবেশিক শাসনের মূল দায়িত্ব ছিল শোষণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিরাপত্তা দেওয়া। তারা শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আইনের ডালি সাঁজিয়ে রাখতো এবং জনগণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্তরের জবরদস্তিমূলক শক্তি প্রয়োগ করতো। ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী সংগ্রামকে অনুপ্রাণিত করে এমন স্বাধীনতা এবং আর্থ-সামাজিক আকাঙ্খার প্রচার করেনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী বিশ্ব ব্যবস্থা। পরিবর্তে তা ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রগুলোর নিপীড়নমূলক এবং অসাম্যমূলক কাঠামো এবং নীতিগুলোকেই বজায় রেখেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে চীনের প্রতিযোগিতা ২০২১ সালের শুরু থেকেই দেখা যাচ্ছিল। বাইডেন প্রশাসন বিশেষত এই অঞ্চলে পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণে কীভাবে অধিকতর ফলপ্রসূ ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল হাতে নেওয়া যায়, তার ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তিন বছর পরও শুধু আংশিক লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কিছু মৌল বিষয়ে ওয়াশিংটন জোরালো অবস্থান নিলেও কোনো কোনো পক্ষকে উপেক্ষাই করেছে। বাস্তবতা হলো, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চীন বিপুল বিনিয়োগ করেছে ও দেশগুলোর সঙ্গে ব্যাপক বাণিজ্যিক লেনদেন আছে।

সে তুলনায় এ অঞ্চলের জন্য সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনার অভাব বাইডেন প্রশাসনে এখনও রয়ে গেছে।দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে জরুরি ইস্যু মিয়ানমারের চলমান গৃহযুদ্ধ নিয়েও বাইডেন প্রশাসন তেমন সফলতা দেখাতে পারেনি। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটির বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সর্বশেষ তাদের তেল ও গ্যাস খাত নিশানা করা হয়েছে। এসব নিষেধাজ্ঞা দেশটিকে চীনের দিকে আরও ঠেলে দিয়েছে।এই পরিস্থিতিতে বাইডেন প্রশাসন মিয়ানমারের পশ্চিমে ভারত ও পূর্বাঞ্চলের থাইল্যান্ডকে কূটনৈতিক নেতৃত্ব গ্রহণের আবেদন জানাতে পারে। দুটি দেশই যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু; উভয়ে সামরিক জান্তার সঙ্গে ইতোমধ্যে আলাপ শুরু করেছে। কারণ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল ও মিয়ানমারে চীনের প্রভাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মতো ভারতও যথেষ্ট উদ্বিগ্ন।দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় শুধু কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে নিজেদের সীমাবদ্ধ করার বাইরেও যুক্তরাষ্ট্রের আরও কিছু স্ব-আরোপিত চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বাইডেন যখন তাঁর ঐতিহাসিক যুক্তরাষ্ট্র-আসিয়ান বিশেষ সম্মেলন এবং গত বছর কম্বোডিয়ায় অনুষ্ঠিত আসিয়ান বার্ষিক সম্মেলনের ব্যাপারে হোয়াইট হাউসে কথা বলছিলেন, তখন স্পষ্টত তিনি এক ধাপ পিছিয়ে গিয়েছিলেন। আরও একটি যুক্তরাষ্ট্র-আসিয়ান বিশেষ সম্মেলনের আয়োজন না করার মধ্য দিয়ে তিনি বহুপক্ষীয় সম্পর্ক তৈরি করা থেকে পিছপা হলেন। এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত আসিয়ান সম্মেলনে তাঁর পরিবর্তে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে পাঠিয়েছিলেন। এমনকি এসব অনুষ্ঠান প্রায় কোনো ফলাফল বয়ে না আনলেও আসিয়ান নেতারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণের মাত্রা বেশ মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন। তারা এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের মাত্রা পরিমাপ করতে চাচ্ছিলেন।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, বাইডেন প্রশাসনের এখনও একটি কার্যকর অর্থনৈতিক কৌশলের অভাব রয়ে গেছে, যা এ গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে বেইজিংয়ের উঠতি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ককে সত্যিকার ভাবে প্রতিহত করতে ওয়াশিংটনের কাজে লাগতে পারে। ২০১৭ সালে ট্রাম্প প্রশাসন বহুপক্ষীয় ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ বাণিজ্যিক চুক্তি থেকে সরে আসে। বাইডেন প্রশাসন সেই উত্তরসূরি দলটিতে আবারও যোগদান করেনি, যেখানে ব্রুনেই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনামসহ মোট ১১টি দেশ সদস্য রাষ্ট্র। এসব কিছু পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে বড় বহুপক্ষীয় বাণিজ্যিক চুক্তির বাইরে রয়ে গেছে, যা রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ নামে পরিচিত। এটির নেতৃত্ব দিচ্ছে আসিয়ান দেশগুলো, চীনসহ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক মিত্রদেশ যেমন অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়া। এর পরিবর্তে বাইডেন প্রশাসন সমৃদ্ধির জন্য ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্কের (আইপিইএফ) প্রস্তাব দিয়েছে। এতে তারা টেকসই অগ্রগতি, প্রতিযোগিতাপূর্ণ ও ন্যায্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। প্রস্তাবে আসিয়ান সাতটি দেশের যোগদানের ব্যাপারটি চমকপ্রদ হলেও এটিকে কেবল দর কষাকষির একটি পথ বলা চলে; চুক্তি বলা যায় না। এতে অন্য সব ধরনের চুক্তির সম্ভাবনা একেবারেই নিরাশ করে দেয়। আইপিইএফ যুক্তরাষ্ট্রকে অন্য কোনো অতিরিক্ত বাণিজ্যিক প্রবেশাধিকার দেয় না, যা ওয়াশিংটনের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি চায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো। অগ্রগামী হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাইডেন প্রশাসন বা তার উত্তরসূরিদের অবশ্য একটি কার্যকর অর্থনৈতিক কৌশল থাকতে হবে। বর্তমানে আসিয়ান দেশগুলোর প্রধান অর্থনৈতিক অংশীদার যুক্তরাষ্ট্র নয়, বরং চীন। পুরো অঞ্চলে চীনের প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে এই সম্পর্কই মূল উৎস।

ওয়াশিংটনের উচিত, ২০২২ সালে স্বাক্ষরিত আসিয়ান কম্প্রিহেনসিভ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ আরও বিস্তৃত ও জোরদারের চেষ্টা করা। গত বছর দু’পক্ষ বলেছিল, তারা ২০২৫ সাল পর্যন্ত একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় ছিল। কিন্তু চুক্তিটি এ অঞ্চলে কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের অনুকূলে সহযোগিতা করবে, তা স্পষ্ট করা হয়নি। ফলাফল একমাত্র এটা হতে পারে, এ অঞ্চলে কয়েকটি শক্ত জোট ও অংশীদারি সম্পর্ক সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অনুকূল নীতি গ্রহণের বিষয়টি এড়িয়ে যাবে। এর পরও যদি যুক্তরাষ্ট্র খুব সক্রিয় ভূমিকা পালন করে, হয়তো তা চীনসংশ্লিষ্ট সংঘাতস্থলে সামান্য পার্থক্য তৈরি করতে পারে। তবে এই সংঘাত তাইওয়ান বা দক্ষিণ চীন সাগরে কিনা, তা বিবেচ্য। বাস্তবতা হলো, প্রতিদ্বন্দ্বী পরাশক্তি দেশ দুটির মধ্যে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে আসিয়ানভুক্ত বেশির ভাগ সদস্য দেশের দীর্ঘদিনের নীতি রয়েছে। শুধু ফিলিপাইন এ অবস্থান থেকে সরে গেছে বলে মনে হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কী পরিমাণ সম্পৃক্ততা থাকলে তা কাজে দেবে, এটি বাকিদের পক্ষে কল্পনা করা কঠিন। তবে স্বল্পকালীন যুদ্ধের পরিস্থিতি মাথায় রেখে বেইজিংকে এ অঞ্চল থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া বা তাদের প্রভাব সীমিত করে দিয়ে চীনের বিরুদ্ধে কৌশলগত প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রের জয়লাভের আরও বিকল্প পথ রয়েছে। কিন্তু এটা করতে গিয়ে আরও সক্রিয় হয়ে এ অঞ্চলের গতিশীলতা অনুকূলে আনা ওয়াশিংটনের পক্ষে কঠিন হবে। এটা শুধু নিরাপত্তার বেলায় নয়, বরং তার চেয়ে কূটনীতি ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অনেক বেশি দুরূহ হবে। কিন্তু এই রাজনৈতিক সংহতির পথে বাধা হিসেবে আছে বেশ কিছু বিষয়। নতুন সব গোষ্ঠী তৈরি হতে শুরু করেছে, কারণ অনেক দেশই মনে করে আসিয়ান লক্ষ্যে ততটা স্থির নয়, শুধু আঞ্চলিক সমস্যাগুলোর সমাধানের উপযোগী, আর সেখানে সদস্য দেশের সরকার বা জমানার উপরেও সব কিছু চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা স্পষ্ট।

নতুন গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সাম্প্রতিকতম ও সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল কোয়াড ও অউকাস। এই সংগঠনগুলো ইচ্ছাকৃত ভাবে বা স্পষ্ট ভাবে আসিয়ান বা আসিয়ানের নেতৃত্বাধীন ইস্ট এশিয়া সামিট বা আসিয়ান ডিফেন্স মিনিস্টারস মিটিং প্লাস-এর মতো‌ প্রতিষ্ঠানগুলোর জায়গা নিতে বা সেগুলোকে খাটো করতে চায় না। কিন্তু দৃশ্যত বা কার্যত এর পরিণতিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বা তার বাইরের বড় শক্তিগুলো এমন ব্যবস্থা তৈরি করতে চাইবে যার মাধ্যমে নিরাপত্তা, অর্থনীতি বা শৃঙ্খলার মতো নানাবিধ স্বার্থ এক সঙ্গে সাধিত হবে। কিন্তু অউকাস বা কোয়াড মোটেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাজনৈতিক সংহতির পথে একমাত্র, বা এমনকি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সমস্যা নয়। আসিয়ানের দুর্বলতাও শুধু মায়ানমার বা দক্ষিণ চিন সমুদ্রের সমস্যার সমাধানে ব্যর্থতার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের পথ ও ভাগ্য বদলে দিচ্ছে তুলনামূলক অর্থনৈতিক শক্তি, অন্যান্য বড় শক্তির সঙ্গে রাজনৈতিক নিরাপত্তা সম্পর্ক, এবং এমনকি ঘরোয়া শাসনব্যবস্থার গভীরতর প্রবণতাগুলো। যেমন এক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, তাইল্যান্ড বা ভিয়েতনামের মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু দেশ সরবরাহ শৃঙ্খল থেকে লাভবান হলেও অন্য অনেকে এই সব ক্ষেত্রে সামান্যই লাভ পাচ্ছে, এবং তারা অনেক বেশি নির্ভরশীল প্রাকৃতিক সম্পদ পণ্য নিষ্কাশন ও ব্যবসার উপর। রাজনৈতিক নিরাপত্তা ও কূটনীতিতেও এই অঞ্চলের বাইরের দেশগুলোর বেশি নজর কাড়তে পারে নতুন উদীয়মান কোনও দেশ।‌ উদাহরণস্বরূপ বলা যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অন্যরা ভিয়েতনামের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক বাড়াতে চাইছে। কাজেই শুধু এমন নয় যে নতুন পরিবেশে আসিয়ানের সামনে নানা চ্যালেঞ্জ উঠে আসছে বা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাইরের দেশ এসে নতুন নতুন গোষ্ঠী তৈরি করছে বলে এই অঞ্চলের উপর প্রভাব পড়ছে;‌ বরং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ এমন পথ বেছে নিতে পারে যার জন্য রাজনৈতিক সংহতি আরও ভঙ্গুর ও পরিণতি অনাকাঙ্ক্ষিত হতে পারে।

পরিশেষে বলা যায়, এ ছাড়াও আছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আন্তর্জাতিক সমন্বয় প্রকল্প, যা তার অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমন্বয়সাধন প্রয়াসের সঙ্গে অসম্পর্কিত নয়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বাকি বিশ্বের ঘনিষ্ঠ দেশগুলোকে আসিয়ান নেতৃত্বাধীন সংগঠনগুলোর অংশীদার করে নিয়ে কৌশলগত আন্তর্জাতিকীকরণে প্রয়াসী হয়েছে।একদিকে যেমন এই ধরনের যোগাযোগের ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অনেক লাভ পেয়েছে এবং কর্মসূচি নির্ধারণ করতে বা বিভিন্ন সংগঠনকে ব্যবহার করতে পেরেছে, তেমনই আরও বিতর্কিত ও দ্রুত প্রবহমান আন্তর্জাতিক পরিবেশে মার্কিন-চিন বা জাপান-আরওকে ইত্যাদি ছাড়াও অন্য নানা প্রতিযোগিতার সঙ্গে কৌশলগত ভাবে পরিচিত হচ্ছে। এই সন্ধিক্ষণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কাছে এখনও যথেষ্ট ক্ষমতা আছে আসিয়ানকে ধরে রাখার বা সদস্য দেশগুলোর স্বার্থ পূরণের। কিন্তু যদি, উদাহরণ স্বরূপ, কৌশলগত প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পায়,তা হলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উপর চাপ তৈরি হতে পারে। সব মিলিয়ে অর্থনৈতিক সমন্বয়সাধন, আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংহতি ও আন্তর্জাতিক ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের প্রয়াস থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অনেক ভাবে লাভবান হয়েছে। কিন্তু এই অঞ্চলে এখন নতুন যে পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, যে গভীর অনিশ্চয়তা ও ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব দেখা দিচ্ছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রয়াসগুলি এমন অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে যা কার্যকর সহযোগিতা, বহুপাক্ষিক সহযোগিতা, এবং কৌশলগত প্রতিযোগিতার মোকাবিলা করা বা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার পক্ষে বিঘ্নকারক হতে পারে।

লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট, যুক্তরাজ্য।

ডেল্টা টাইমস্/রায়হান আহমেদ তপাদার/এমই

ইসরায়েলের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের অন্তরায়

ফিলিস্তিনিদের রাষ্ট্রলাভের অধিকার প্রত্যাখ্যান করে  ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জোটের

নারীর ক্ষমতায়নে বর্তমান সরকার

কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায় বলতে হয়, “বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর অর্ধেক

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বনাম বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন

বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে ছাত্র আন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে অধিকার

যুদ্ধ আক্রান্ত বৈশ্বিক সংকট ও ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলন

মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো সম্প্রতি ৭৫ বছর পূর্ণ করেছে। সম্প্রতি ওয়াশিংটনে ন্যাটোর ৭৫তম বার্ষিক
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কমলা হ্যারিসকে একহাত নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি বিভিন্ন ভবন পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী

স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি স্থগিত

বসুন্ধরা থেকে শিবিরের ১৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

চ্যাটজিপিটিতে এলো সার্চ ফিচার

ছিন্নমূল ২ হাজার মানুষকে রেড ক্রিসেন্টের ত্রাণ সহায়তা

র‍্যাবের অভিযানে সারাদেশে আরও ২৯০ জন গ্রেপ্তার

নাহিদসহ ৩ সমন্বয়ক হাসপাতাল থেকে ডিবি হেফাজতে

সেন্টমার্টিনগামী ট্রলার ও স্পিডবোট ডুবিতে নিখোঁজ তিনজনের লাশ উদ্ধার

চীন-রাশিয়ার ৪ যুদ্ধবিমানকে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ধাওয়া

ঘুম থেকে উঠে শুনি আমি মারা গেছি

দুর্নীতির দায়ে গ্রেপ্তার রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী

নতুন একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি ড. ইউনূসের

এক দফা দাবিতে ‘জাতীয় ঐক্যে’র ডাক বিএনপির

আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী

বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন ছিল সাগরের, ফিরলেন লাশ হয়ে

দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করতেই দেশকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে

সাংবাদিক সাঈদ খানকে গ্রেপ্তারে বিএফইউজে ও ডিইউজের নিন্দা

ঢাকাসহ চার জেলায় আজ ৯ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল

সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন আজ