ই-পেপার সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

এই বিপ্লব ভোট চায় না, কাজ চায়

রহমান মৃধা:
২০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৭

বাংলাদেশ আর আমি – এ যেন এক অভিন্ন সত্তা। আমি চাইলে দেশটিকে ছেড়ে থাকতে পারি না, আবার তার মিথ্যা, শোষণ আর দুর্নীতির রাজনীতির কারণে কাছে যেতেও পারি না। ভালোবাসার বাঁধনে আবদ্ধ বলে পেছন ফিরে তাকাই, কিন্তু দেশের রক্তচোষা রাজনীতিবিদদের কুকর্ম আর মিথ্যাচার আমাকে আটকে রাখে।

আমি বিশ্বাস করি—আল্লাহ্‌র আলোকিত পথে হাঁটাই মুক্তির একমাত্র উপায়। সেই পথেই চলি, যেখানে সত্য আছে, যেখানে প্রিয় মানুষদের আদর্শিক ছায়া পড়ে। কিন্তু, দুঃখের বিষয়, যাদের হাতে দেশ ছিল—তারাই দেশকে পদদলিত করেছে, পথভ্রষ্ট করেছে, মানুষের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করেছে।

তাই আজ দূর থেকে দেশের জন্য কাজ করি। দেশের মানুষকে ভালোবেসে, তাদের চোখের জল দেখে আজ আমি কলম তুলে নিই, বুকের ভেতর জমা ক্ষোভ ছড়িয়ে দিই প্রতিটি শব্দে। কারণ দেশের জন্য কিছু করতে হলে, মুখে বুলি না ঝাড়লেও চলে, কাজে প্রমাণ দিতে হয়।

কিন্তু, হায়! যখনই দেখি কেউ সাহস করে দেশের হাল ধরতে চায়, নতুন করে গড়তে চায় স্বপ্নের বাংলাদেশ—ঠিক তখনই সেই পুরনো গলাবাজ, সেই চেনা মুখগুলো গলা ফাটিয়ে চিৎকার শুরু করে: “নির্বাচন চাই! ভোট চাই!”

তাদের প্রশ্ন করি—কোথায় ছিল এই ভোটের অধিকার, যখন তোমরা ক্ষমতায় ছিলে?

১. শেখ মুজিবুর রহমান নির্বাচনের বাইরে ক্ষমতায় ছিলেন প্রায় ১.৫ বছর।

২. জিয়াউর রহমান ছিলেন ৪.৫ বছর, সেনাশাসনের মুখোশে।

৩. হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছিলেন পুরো ১০ বছর—সরাসরি সামরিক শাসক!

৪. ২০০৬ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতা ছাড়ার সময়ও নির্বাচনের নামে নাটক চলেছে।

৫. আর শেখ হাসিনা—২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত, একের পর এক পাতানো নির্বাচন, রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন আর ভুয়া উন্নয়নের গল্পে জনগণকে ধোঁকা দিয়েছেন।

তাহলে প্রশ্ন জাগে—এই সময়গুলোতে কোথায় ছিল জনগণের প্রকৃত অধিকার?

আপনারা ক্ষমতায় গিয়েছেন, বারবার গিয়েছেন—কিন্তু কী দিয়েছেন জাতিকে?

শিক্ষিত বেকারত্ব, পাটকলের গেট বন্ধ, চিকিৎসাহীন মৃত্যু, দুর্নীতির পাহাড়, আর দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার হাহাকার!

নিজেরা ফকির থেকে কোটি টাকার মালিক হয়েছেন, আর দেশের মানুষ আজও ভাতের জন্য দাঁড়ায় রাস্তায় লাইনে!

এখন যখন বাংলাদেশ তার সত্যিকারের অভিভাবককে পেয়েছে, তখনই শুরু হয়েছে কণ্ঠরোধের ষড়যন্ত্র—“নির্বাচন চাই, নির্বাচন চাই!” এই আওয়াজ এখন যেন শুধুই বিরক্তিকর প্যাঁচপ্যাঁচানি।

ভাইরে, বিপ্লব কখনও ব্যালট চায় না। ইতিহাসের প্রতিটি মৌলিক পরিবর্তন এসেছে বিপ্লবী শক্তির হাত ধরে, জনগণের ভরসা আর নেতৃত্বের আস্থায়।

বিপ্লব মানেই স্বতঃসিদ্ধ বৈধতা।

আমেরিকার স্বাধীনতা আন্দোলন, ফরাসি বিপ্লব, রাশিয়ার অক্টোবর বিপ্লব—সবই ছিল রাজনীতির প্রচলিত নিয়ম ভেঙে নতুন পথ রচনা করার গল্প।

আজ বাংলাদেশের মানুষ আর ভোটের জন্য গলা ফাটায় না—তারা চায় একজন আদর্শবান, ন্যায়পরায়ণ শাসক।

একজন মানুষ, যে লুটপাট করবে না, ক্ষমতাকে দান হিসেবে নয়—দায়িত্ব হিসেবে নেবে। যে কৃষকের ঘাম বুঝবে, ছাত্রের চোখে স্বপ্ন দেখবে, বৃদ্ধের মুখে শান্তির হাসি আনবে।

আর যারা দিনভর রাস্তায় নেমে নির্বাচন, নির্বাচন বলে গলা ফাটায়—তাদের বলি,

যে নিজের সংসার চালাতে পারে না, সে দেশ চালাবে কীভাবে?

রাজনীতি আজ ব্যবসা নয়, চাকরি নয়—এটা সেবা।

আর যদি সেবা না পারেন, সোজা কাজ করুন, ঘাম ঝরান, পরিবারকে খাওয়ান, দেশের জন্য সৎভাবে আয় করুন।

আমি বিদেশে থেকেও দেশের জন্য কাজ করি। আপনি দেশে থেকে পারবেন না কেন?

দেশপ্রেম মানে ব্যানার নয়, ব্যালট নয়—দেশপ্রেম মানে নিজের যোগ্যতাকে দেশের কল্যাণে উৎসর্গ করা।

আজ আমাদের প্রয়োজন সৎ নেতৃত্ব, আদর্শিক কাঠামো আর জাতীয় ঐক্য।

ভোট নয়, দল নয়, ক্ষমতা নয়—আমরা চাই বাংলাদেশ গড়ে উঠুক নতুন ন্যায়ের ভিতের ওপর।

তাই বলছি—

নোভোটিং এট দিস মোমেন্ট!

বিপ্লবী সরকারের জন্য ভোট লাগে না!

কারণ, সত্যিকারের বিপ্লব কখনও ব্যালটে আসে না—সে আসে মানুষের মঙ্গল আর ইতিহাসের অনিবার্যতার হাত ধরে!

লেখক: সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন।

ক্লাউড, স্টোরেজ ও ইন্টারনেট গেটওয়ের স্বনির্ভরতা অর্জনে বাংলাদেশের করণীয়

একবিংশ শতাব্দীর ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অবকাঠামো (ICT Infrastructure) এখন একটি দেশের সার্বভৌমত্ব,

ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি (IP) ও উদ্ভাবনী অর্থনীতি: বাংলাদেশের পরবর্তী চালিকাশক্তি

আজকের বিশ্বে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং দীর্ঘমেয়াদী সাফল্যের মূল চালিকাশক্তি আর কেবল সস্তা শ্রম বা কাঁচামাল

রাজনীতি-অর্থনীতির দুর্গতি কাটাতে নির্বাচন ছাড়া গতি নেই

বহুল আলোচিত গণভোট ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড.

মিয়ানমার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও রোহিঙ্গা ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

মিয়ানমারে সৃষ্ট রোহিঙ্গা সংকট এখন বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে চলমান নানা
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বস্তিবাসীর জন্য ‘ফ্যামিলি কার্ড’ ও স্থায়ী পুনর্বাসনের আশ্বাস আমিনুল হকের

আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূতের জাতীয় প্রেসক্লাব পরিদর্শন

ভূমিকম্প : প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে প্রস্তুত সরকার

মানিকগঞ্জে বাউলদের ওপর হামলা: সরকারের নীরবতায় টিআইবির উদ্বেগ

বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য ১ লাখ টন চাল কিনতে চায় পাকিস্তান

সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন খালেদা জিয়া

মেট্রোরেলে ৮ কেজি গাঁজাসহ নারী-পুরুষ আটক

ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ফ্রান্সকে সহযোগিতার আহ্বান

মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলেই দেশে শান্তি লঙ্ঘিত হবে: সুলতানা কামাল

কুমিল্লা বিভাগের দাবিতে ঢাকায় মানববন্ধন, উন্নয়ন বঞ্চনার অভিযোগ

অবিলম্বে বার কাউন্সিলের নির্বাচন দাবি এনসিপির আইনজীবীদের

কয়রায় জলবায়ু ঝুঁকিতে সুরক্ষা জোরদারের কর্মশালা

ভূমিকম্পে সচিবালয়ে নতুন ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল

দেশে ডেঙ্গুজ্বরে আরও ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭০৫ জন

নির্বাচন ঘিরে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের জরুরি নির্দেশনা এনএসসির

তিতাস গ্যাস জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের অভিষেক ও শপথ অনুষ্ঠিত

পুরান ঢাকার কেমিক্যাল কারখানা ও ঘনবসতি ঝুঁকিপূর্ণ, স্থানান্তর জরুরি

গণভোট হলে শতভাগ ভোট দুর্নীতির বিপক্ষে, তারপরও কেন দুর্নীতি হচ্ছে

শত্রু নয়, দায়িত্বশীল বিরোধী দল দরকার: গয়েশ্বর

গুজবে ও অপতথ্যের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকে শক্ত অবস্থান নিতে হবে