ই-পেপার বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২

এই বিপ্লব ভোট চায় না, কাজ চায়

রহমান মৃধা:
২০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৭

বাংলাদেশ আর আমি – এ যেন এক অভিন্ন সত্তা। আমি চাইলে দেশটিকে ছেড়ে থাকতে পারি না, আবার তার মিথ্যা, শোষণ আর দুর্নীতির রাজনীতির কারণে কাছে যেতেও পারি না। ভালোবাসার বাঁধনে আবদ্ধ বলে পেছন ফিরে তাকাই, কিন্তু দেশের রক্তচোষা রাজনীতিবিদদের কুকর্ম আর মিথ্যাচার আমাকে আটকে রাখে।

আমি বিশ্বাস করি—আল্লাহ্‌র আলোকিত পথে হাঁটাই মুক্তির একমাত্র উপায়। সেই পথেই চলি, যেখানে সত্য আছে, যেখানে প্রিয় মানুষদের আদর্শিক ছায়া পড়ে। কিন্তু, দুঃখের বিষয়, যাদের হাতে দেশ ছিল—তারাই দেশকে পদদলিত করেছে, পথভ্রষ্ট করেছে, মানুষের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করেছে।

তাই আজ দূর থেকে দেশের জন্য কাজ করি। দেশের মানুষকে ভালোবেসে, তাদের চোখের জল দেখে আজ আমি কলম তুলে নিই, বুকের ভেতর জমা ক্ষোভ ছড়িয়ে দিই প্রতিটি শব্দে। কারণ দেশের জন্য কিছু করতে হলে, মুখে বুলি না ঝাড়লেও চলে, কাজে প্রমাণ দিতে হয়।

কিন্তু, হায়! যখনই দেখি কেউ সাহস করে দেশের হাল ধরতে চায়, নতুন করে গড়তে চায় স্বপ্নের বাংলাদেশ—ঠিক তখনই সেই পুরনো গলাবাজ, সেই চেনা মুখগুলো গলা ফাটিয়ে চিৎকার শুরু করে: “নির্বাচন চাই! ভোট চাই!”

তাদের প্রশ্ন করি—কোথায় ছিল এই ভোটের অধিকার, যখন তোমরা ক্ষমতায় ছিলে?

১. শেখ মুজিবুর রহমান নির্বাচনের বাইরে ক্ষমতায় ছিলেন প্রায় ১.৫ বছর।

২. জিয়াউর রহমান ছিলেন ৪.৫ বছর, সেনাশাসনের মুখোশে।

৩. হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছিলেন পুরো ১০ বছর—সরাসরি সামরিক শাসক!

৪. ২০০৬ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতা ছাড়ার সময়ও নির্বাচনের নামে নাটক চলেছে।

৫. আর শেখ হাসিনা—২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত, একের পর এক পাতানো নির্বাচন, রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন আর ভুয়া উন্নয়নের গল্পে জনগণকে ধোঁকা দিয়েছেন।

তাহলে প্রশ্ন জাগে—এই সময়গুলোতে কোথায় ছিল জনগণের প্রকৃত অধিকার?

আপনারা ক্ষমতায় গিয়েছেন, বারবার গিয়েছেন—কিন্তু কী দিয়েছেন জাতিকে?

শিক্ষিত বেকারত্ব, পাটকলের গেট বন্ধ, চিকিৎসাহীন মৃত্যু, দুর্নীতির পাহাড়, আর দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার হাহাকার!

নিজেরা ফকির থেকে কোটি টাকার মালিক হয়েছেন, আর দেশের মানুষ আজও ভাতের জন্য দাঁড়ায় রাস্তায় লাইনে!

এখন যখন বাংলাদেশ তার সত্যিকারের অভিভাবককে পেয়েছে, তখনই শুরু হয়েছে কণ্ঠরোধের ষড়যন্ত্র—“নির্বাচন চাই, নির্বাচন চাই!” এই আওয়াজ এখন যেন শুধুই বিরক্তিকর প্যাঁচপ্যাঁচানি।

ভাইরে, বিপ্লব কখনও ব্যালট চায় না। ইতিহাসের প্রতিটি মৌলিক পরিবর্তন এসেছে বিপ্লবী শক্তির হাত ধরে, জনগণের ভরসা আর নেতৃত্বের আস্থায়।

বিপ্লব মানেই স্বতঃসিদ্ধ বৈধতা।

আমেরিকার স্বাধীনতা আন্দোলন, ফরাসি বিপ্লব, রাশিয়ার অক্টোবর বিপ্লব—সবই ছিল রাজনীতির প্রচলিত নিয়ম ভেঙে নতুন পথ রচনা করার গল্প।

আজ বাংলাদেশের মানুষ আর ভোটের জন্য গলা ফাটায় না—তারা চায় একজন আদর্শবান, ন্যায়পরায়ণ শাসক।

একজন মানুষ, যে লুটপাট করবে না, ক্ষমতাকে দান হিসেবে নয়—দায়িত্ব হিসেবে নেবে। যে কৃষকের ঘাম বুঝবে, ছাত্রের চোখে স্বপ্ন দেখবে, বৃদ্ধের মুখে শান্তির হাসি আনবে।

আর যারা দিনভর রাস্তায় নেমে নির্বাচন, নির্বাচন বলে গলা ফাটায়—তাদের বলি,

যে নিজের সংসার চালাতে পারে না, সে দেশ চালাবে কীভাবে?

রাজনীতি আজ ব্যবসা নয়, চাকরি নয়—এটা সেবা।

আর যদি সেবা না পারেন, সোজা কাজ করুন, ঘাম ঝরান, পরিবারকে খাওয়ান, দেশের জন্য সৎভাবে আয় করুন।

আমি বিদেশে থেকেও দেশের জন্য কাজ করি। আপনি দেশে থেকে পারবেন না কেন?

দেশপ্রেম মানে ব্যানার নয়, ব্যালট নয়—দেশপ্রেম মানে নিজের যোগ্যতাকে দেশের কল্যাণে উৎসর্গ করা।

আজ আমাদের প্রয়োজন সৎ নেতৃত্ব, আদর্শিক কাঠামো আর জাতীয় ঐক্য।

ভোট নয়, দল নয়, ক্ষমতা নয়—আমরা চাই বাংলাদেশ গড়ে উঠুক নতুন ন্যায়ের ভিতের ওপর।

তাই বলছি—

নোভোটিং এট দিস মোমেন্ট!

বিপ্লবী সরকারের জন্য ভোট লাগে না!

কারণ, সত্যিকারের বিপ্লব কখনও ব্যালটে আসে না—সে আসে মানুষের মঙ্গল আর ইতিহাসের অনিবার্যতার হাত ধরে!

লেখক: সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন।

মিয়ানমারে রাশিয়া এবং আমেরিকার আগ্রহ ও প্রভাব

বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমারকে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরাশক্তিগুলো তাদের প্রভাব বলয়ে রাখার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে। সামরিক

ডিজিটাল ইকোনমিতে তরুণদের অংশগ্রহণে বাড়ছে প্রবৃদ্ধির গতি

গত এক দশকে বাংলাদেশের অর্থনীতি এক অবিশ্বাস্য রূপান্তর প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেছে। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি,

তরুণ প্রজন্মের চোখে আজকের বাংলাদেশ গুজব, বিভ্রান্তি আর অনিশ্চয়তায় ভরা

ডাকসু নির্বাচন শেষ না হতেই জাকসু নির্বাচন শুরু হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন মানেই এখন আর স্বচ্ছতা

আমেরিকান বন্ধুর গল্প এবং অর্গানিক চাষসহ একটি মডেল গ্রামের একী হাল!

ঘর থেকে বের হয়ে আওড়াতে থাকি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর একটি কবিতার পংক্তিমালা। " ঘর থেকে
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি কারিগরি শিক্ষার্থীদের

খুলনায় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

কঠিন ও অস্বস্তিকর প্রশ্ন করা সাংবাদিকদের দায়িত্ব: শফিকুল আলম

পর্যটকবাহী জিপ খাদে পড়ে খুবি ছাত্রী নিহত, আহত ১২

রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অভিযান

প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করেছি: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

এখন আন্দোলন ডাকা আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা: খসরু

পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসছে আফগানিস্তান

যাত্রাবাড়ীতে দরজা ভেঙে ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার

খেলাপিদের ঋণমুক্ত হওয়ার সুবিধায় থাকছে আরও ছাড়

শিশু সুরক্ষায় ‘প্রজেক্ট সুরক্ষা’ চালু করল আইজেএম

সাতরাস্তা মোড়ে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার কারিগরি শিক্ষার্থীদের

একনেকে ৮৩৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩ প্রকল্প অনুমোদন

শেখ পরিবারের বিরুদ্ধে তিন মামলায় সাক্ষ্য দিলেন ৫ জন

মেধাবী ও ভদ্র প্রকৃতির মেয়ে ছিলেন কুবি শিক্ষার্থী সুমাইয়া

ডেমু ট্রেন ক্রয়ে ক্ষতি ৬০০ কোটি টাকা, আসামি রেলওয়ের সাবেক ডিজিসহ ৭

আইফোনের আদলে অ্যান্ড্রয়েডেও আসছে ইমার্জেন্সি লাইভ ভিডিও–সুবিধা

বর্ধিত মেয়াদের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন চায় কমিশন

হবিগঞ্জে আত্মীয়র বাড়িতে যাওয়ার পথে বাসচাপায় মা-ছেলে নিহত

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে আজও ট্রাইব্যুনালে নাহিদ