ই-পেপার মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

হজে গিয়ে শারীরিক ও মানসিক সুস্হ্যতায় কী করবেন

অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ:
০৯ মে ২০২৫, ২১:১৮

প্রতিবছরের মতো এবারও হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়ে যাচ্ছেন। হজযাত্রীদের বড় অংশই বয়স্ক। তাঁদের অনেকেরই আছে নানা ক্রনিক রোগ, যেমন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ, হাঁপানি ইত্যাদি। হজে গিয়ে যেন তাঁরা সুস্থ থাকতে পারেন, সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি। প্রতিবছর হজে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসল্লি অসুস্থ হয়ে পড়েন, অনেকে মারাও যান।

সংক্রমণ

হজে লাখ লাখ মুসল্লির সমাগম ঘটে। তাই এখানে যেকোনো সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া সহজ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয় শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ। কারণ, এই জীবাণু বাতাসে ড্রপলেট আকারে ছড়ায়। বয়স্ক ও ডায়াবেটিসের রোগীর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম থাকে বলে সহজেই আক্রান্ত হতে পারেন। তাই ফ্লু, নিউমোনিয়া এড়াতে মুখে মাস্ক পরুন, বারবার হাত পরিষ্কার করুন। হাঁচি–কাশির আদবকেতা মেনে চলুন। সম্ভব হলে যাওয়ার আগে ফ্লু ও নিউমোনিয়ার টিকা দিয়ে নিন। আরেকটি জটিল সংক্রমণ হলো মেনিনজাইটিস বা মস্তিষ্কের পর্দার প্রদাহ, যা প্রাণঘাতী হতে পারে। এটিও ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে ছড়ায়। হজে যাওয়ার আগে মেনিনজাইটিসের টিকা নেওয়া জরুরি। যেকোনো জ্বর, কাশি, জ্বরের সঙ্গে ঘাড় শক্ত হওয়া, শরীরে র‌্যাশ দেখা দিলে দ্রুত মেডিকেল ক্যাম্পের চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রস্রাবে সংক্রমণ হলে জ্বরের সঙ্গে প্রস্রাবে জ্বালা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক লাগবে।

ডায়রিয়া

বাইরের খাবার খেতে হয় বলে বদহজম বা ডায়রিয়া হতে পারে। এমন হলে মুখে খাওয়ার স্যালাইন খাবেন, বমি থাকলে শিরায় স্যালাইন নিতে হবে। ডায়রিয়া বা বমি হলে কী ওষুধ খাবেন, তা জেনে নিয়ে সঙ্গে বহন করুন। বাসি–পচা খাবার খাবেন না।

হজযাত্রীদের বড় অংশই বয়স্ক। হজে গিয়ে যেন তাঁরা সুস্থ থাকতে পারেন, সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি।

পানিশূন্যতা

সৌদি আরবে অনেক গরম, তাই পানিশূন্যতা হতে পারে যে কারও। প্রচুর পানি পান করতে হবে। যদি মাথা ব্যথা করে, চোখ বসে যায় ও প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়, তবে বুঝবেন ডিহাইড্রেশন হচ্ছে। পানির সঙ্গে অন্যান্য তরলও পান করবেন। অনেকে টয়লেটে যাওয়ার ভয়ে পানি কম খান, যা একেবারেই ঠিক নয়। হিট স্ট্রোক এড়াতে ছাতা বা হ্যাট ব্যবহার করবেন। ঢিলেঢালা কাপড় পরবেন।

দীর্ঘমেয়াদি রোগে সতর্কতা

যাঁদের হাঁপানি আছে, তাঁরা যথেষ্ট ইনহেলার ও ওষুধ সঙ্গে নেবেন। ডায়াবেটিসের রোগীরা থার্মোফ্লাস্কে ইনসুলিন নিতে পারেন। গ্লুকোমিটারে মাঝেমধ্যে রক্তে শর্করা পরীক্ষা করবেন ও সে অনুযায়ী মাত্রা ঠিক করবেন। সঠিক সময়ে খাবার গ্রহণ করতে চেষ্টা করবেন। উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা রক্তচাপ মাপার যন্ত্র নিতে পারেন। অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার খেলে রক্তচাপ বাড়তে পারে।

পায়ের যত্ন

অনেক হাঁটতে হয় বলে পায়ে আঘাত, ঘা হতে পারে। সঠিক মাপের আরামদায়ক জুতা পরতে হবে। একাধিক জুতা সঙ্গে নেওয়া ভালো। খালি পায়ে হাঁটার জায়গায় মোজা পরে নেওয়া উচিত। বারবার অজু করার পর পায়ের আঙুলের ফাঁকগুলো মুছে নেবেন। পায়ে কোনো ক্ষত হলে অ্যান্টিবায়োটিক মলম লাগান বা ড্রেসিং করে নিন।

সর্বোপরি শারীরিক মানসিক প্রস্তুতির পাশাপাশি কিছু আধ্যাত্মিক প্রস্তুতিও দরকার রয়েছে। কেননা বার বার হয়তো যাবার সুযোগ হবে না। পরে এসে আফসোস করবেন যে আগে থেকেই আরো কিছু জেনে শুনে আসলাম না কেন! তাই আগে দিবি বুঝে শুনে যাওয়া উচিত। তাছাড়া সেখানে গিয়ে দুনিয়াবী কোন চিন্তা ভাবনা করা, একান্ত জরুরি ছাড়া ফোন, ফেইসবুকে পোস্ট ছবি তোলা ইত্যাদি কিছু ঠিক নয়। প্রতিটি ওয়াক্ত সময় প্রতিটি মুহূর্ত আল্লাহর সন্তুষ্টির লাভের চেষ্টায় নিয়োজিত থাকা উচিত, এবং প্রতিটি ফরজ ঠিক ভাবে মোয়াল্লেম থেকে জেনে নিন, আপনার হজ্জ -ওমরা কবুল করুক আমিন।

লেখক : ইমেরিটাস অধ্যাপক, মেডিসিনবিশেষজ্ঞ।

আমার বার্তা/অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ/এমই

রোহিঙ্গা-রাখাইন সহবস্থান নিশ্চিতে আরাকান আর্মিকে উদ্যোগী হতে হবে

বর্তমানে বাংলাদেশ- মিয়ানমার সীমান্ত আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে এবং রাখাইন রাজ্যে তাদের আধিপত্য সুদৃঢ় করতে আরাকান

বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণের প্রধান কারণ বায়ুদূষণ

বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণের প্রধান কারণ হচ্ছে বায়ুদূষণ, শব্দ দূষণ ও নদী দুষণ ।বায়ু দুষণের-জন্য আমাদের-রাজধানী

শিক্ষক নিয়োগে বৈধতা ও ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় আমরা অপরাধী?

যখন একজন শিক্ষক জাল সনদধারী হয়েও আদালতের আশ্রয় নেন, তখন তাঁকে বাঁচাতে নড়েচড়ে বসে কিছু

আসন্ন নির্বাচন এবং ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা : সাকিফ শামীমের ভাবনা

বাংলাদেশে ২০২৬ সালের সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক অঙ্গনে যখন উত্তাপ বাড়ছে, তখন দেশের অর্থনীতি
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইনসাফভিত্তিক মানবিক দেশ প্রতিষ্ঠার এখনই সময়: তারেক রহমান

সংস্কারের কথা বিএনপিই সবার আগে বলেছে: মির্জা ফখরুল

শহীদদের আত্মত্যাগে গড়া হবে নতুন বাংলাদেশ: খালেদা জিয়া

বাংলাদেশ ও বুর্কিনা ফাসোর মধ্যে সরাসরি তুলা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব

হাতিয়ায় যৌথ অভিযানে অস্ত্র-চোরাইমালসহ আটক ৪

হালদা নদীকে নারী নির্যাতনের মতো নির্যাতন করা হয়: ফরিদা আখতার

অন্তর্বর্তী সরকার গঠন নিয়ে লিভ-টু-আপিলের শুনানি ১৬ জুলাই

ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে ‘ডিগ্রেডেড এয়ারশেড’ চিহ্নিত করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

জুলাই বিপ্লবের শহিদরা দেশ ও জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা

দেশে কোনো জঙ্গি নেই, আছে ছিনতাইকারী : ডিএমপি কমিশনার

বুলাওয়ে টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ৩২৮ রানে হারালো দক্ষিণ আফ্রিকা

প্রহসনের নির্বাচনে দায় স্বীকার করলেন সাবেক সিইসি নূরুল হুদা

যেসব ইস্যুতে ঐকমত্য, সেসবেই সংস্কার হবে: মাহমুদুর রহমান মান্না

জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত না করা অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা

‘নিছক ছাত্র আন্দোলন’ বলেছিল, এখন বলছে আমাদের ছাড়া সংস্কার নয়

সারজিস-হাসনাতকে ১০০ বার ফোন দিলেও একবারও ধরেন না

চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত বুধবার: সাখাওয়াত হোসেন

জাতীয় নির্বাচন ঘিরে দৌড়ঝাঁপ, স্থানীয় ভোট ইসির রাডারে নাই

গাজীপুরে স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর লিঙ্গ কর্তনের অভিযোগ, স্ত্রী পলাতক

পদ্মা সেতু দুর্নীতির মামলা গায়ের জোরেই দায়মুক্তি দেওয়া হয়: দুদক চেয়ারম্যান