অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষিত ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টির পাঁয়তারা করা হচ্ছে, নানা উছিলা সামনে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে রমনাস্থ ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স (আইইবি) এ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিএনপি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
তিনি বলেন, জনগণ সন্দেহ পোষন করছে, আমরা কিন্তু বুঝি। কেউ বলছে, সংস্কার আবার স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এগুলো বলে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বিলম্ব করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। দেশ নির্বাচনমুখী হলে যত ষড়যন্ত্র আসুক না কেন, জনগণ তা মোকাবেলা করবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্যকে আমরা সফল করতে পারিনি। দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বারবার হোঁচট খেয়েছি। শুধু কি তাই, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে অস্বীকার করেছিল স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ। জিয়ার অবদানকে অস্বীকার করতে গিয়ে বারবার আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। অথচ জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাতা করেছিলেন। দেশের মানুষ প্রমাণ করতেছে, ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে সরকার পরিবর্তন করতে পারে, যেটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে দেখিয়েছে। ভোট দিতে বাধা সৃষ্টি করে তাদেরকে বিতাড়িত করে পারে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা মনে করেছিলাম, স্বৈরাচার পতনের মধ্যে দিয়ে দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ফিরে পাব, ' না'। এখন গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে প্রশ্নের সম্মুখীন করা হচ্ছে। নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা হীন চেষ্টা করা হচ্ছে। এখন দেখি, বিএনপি যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে, বিএনপিকে আটকে দেয়া চেষ্টা করা হচ্ছে। বিরাজনীতিকরণের চেষ্টা চলছে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা করেছিল তাকে জনগণ ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান বলেন, এবারের এই ছাত্র-জনতা, রাজনৈতিক দল সকলের সম্মিলিত গণঅভ্যুত্থানের পরে আজকে যে অস্থিরতা দেখতে পাচ্ছি, এই অস্থিরতা কাম্য নয়। এই অস্থিরতায় আমি বলবো যে, বাংলাদেশ পুনর্গঠনে, বাংলাদেশের স্বাধীনতায়, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী, রাজনৈতিক দল, জনগণ, ছাত্ররা সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আছে।
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এই ধরণের অভ্যুত্থানের পরে যুগে যুগে পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশেই নতুন প্রতিবিপ্লবের অভ্যুত্থান, প্রতিক্রিয়াশীলদের চেষ্টা থাকে, কখনো কখনো সেই চেষ্টা সফলও হয়েছে। সেই কারণে নতুন করে ফ্যাসিবাদী হাসিনার নতুন করে আসারও নতুন ষড়যন্ত্র চক্রান্ত শুরু করেছে। তাই সকল চক্রান্ত থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র পথ হলো অতিদ্রুত নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করার সংক্ষিপ্ত সংস্কার করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার ও সংসদ আসলে এই অস্থিরতা কেটে যাবে।
আমার বার্তা/এমই