আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করা হচ্ছে—এমন অভিযোগ তুলেছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বলা হয়েছে, একটি চক্র জাতীয় নির্বাচন বানচাল করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে।
বুধবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এতে স্থায়ী কমিটির শীর্ষ নেতারা অংশ নেন।
বৈঠক শেষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা এবং হতাহতের ঘটনায় বিএনপি গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে। এই হামলা গণতন্ত্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ।”
বিএনপির বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়, সরকারপন্থী দুষ্কৃতিকারীরা পরিকল্পিতভাবে বিরোধী কণ্ঠকে দমন করছে, যার অংশ হিসেবে গণতান্ত্রিক শক্তির ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। ফলে সরকারকে কারফিউ ও ১৪৪ ধারা জারি করতে হচ্ছে, যা আবারও গণতন্ত্র ধ্বংসের নীলনকশার ইঙ্গিত বহন করে।
বৈঠকে নেতারা আশা প্রকাশ করেন, সব রাজনৈতিক দল দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে এবং উসকানিমূলক কর্মসূচি থেকে বিরত থাকবে, নইলে গণতন্ত্রবিরোধী গোষ্ঠী লাভবান হবে।
মির্জা ফখরুল আরও জানান, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সম্পর্কেও সভায় আলোচনা হয় এবং কমিশনের অগ্রগতি নিয়ে সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বিস্তারিত অবহিত করেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে একদলীয় দুঃশাসন ও ভয়ভীতির পরিবেশ তৈরি করতে দেশে অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে—হত্যা, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। অথচ সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা শুধু বক্তব্যে ব্যস্ত, কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।
সভা থেকে সরকারকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।
এছাড়াও, সম্প্রতি মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ডে বিএনপিকে জড়িয়ে কিছু দলের ‘অভব্য’ ভাষা ও প্রচার নিয়ে সভায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। নেতারা বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান সম্পর্কে অশালীন ও শিষ্টাচারহীন বক্তব্য জাতিকে হতবাক করেছে।
আমার বার্তা/জেএইচ