ওমানে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেশটিতে কর্মরত বাংলাদেশি গণমাধ্যমকর্মীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ দূতাবাসে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় আলোচনায় পাসপোর্ট সমস্যার সমাধানের বিষয়টি উঠে আসে। সেখানে সাংবাদিকরা তুলে ধরেন, এমআরপি পাসপোর্ট পেতে সাধারণ মানুষদের দীর্ঘসময় লেগে যাচ্ছে। সালালাহ-সহ দূরদূরান্ত থেকে আসা সেবা প্রার্থীদের জন্য আলাদা ডেস্ক করার পাশাপাশি তাদের যেন রোদে দাঁড়িয়ে থাকতে না হয় সেজন্য বসার জায়গা বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা করা হয় সভায়।
আলোচনায় উঠে আসে, দূতাবাসে লোক সংকটের কারণে যারা বিভিন্ন সেবা গ্রহণের জন্য দূতাবাসে আসেন তাদের অনিচ্ছাকৃত অনেক দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে হয়। দূতাবাস কর্মকর্তারা চাইলেও শুধু কর্মী কম থাকায় যথাসময়ে সঠিকভাবে সেবা গ্রহীতাদের সেবা দিতে পারেন না। প্রতিদিন অ্যাম্বাসিতে আসা প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ পাসপোর্টের কাজে আসেন। ই-পাসপোর্টের জন্য আসা লোকের সংখ্যা হয় দুই থেকে তিনশ জন। প্রতিদিনই রাত ৮টা-৯টা পর্যন্ত এই স্বল্প লোকজন দিয়ে সম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করতে হয়। এজন্য অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় সেবা গ্রহীতাদের পাশাপাশি সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে সেবা প্রদানকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্যও।
এ পরিস্থিতি এড়াতে দূতাবাস এরিয়া অথবা ভবন বৃদ্ধি ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেবার মানোন্নয়ন করতে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী বৃদ্ধির ব্যাপারেও আলোচনা করা হয়।
তাছাড়া দূতাবাসের বাইরে থাকা পানির কোলার বৃদ্ধি, নামাজের স্থানের সুবিধা, ওয়াশরুম বৃদ্ধিতে নজর দেওয়াসহ আরও বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন ও মিনিস্টার মৌসুমী রহমান, শ্রম কাউন্সিলর মেজর রাফিউল ইসলাম ও এইচ ও সি থোয়াইং এ উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পলাশ শীল, ফোরকান মাহমুদ, রফিকুল্লাহ, রাশেদ, থামাছ প্রমুখ।
সভা শেষে সাংবাদিকরা রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল ইসলামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
আমার বার্তা/এমই