ই-পেপার মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

রাগ নিয়ন্ত্রণে ইসলামের নির্দেশনা

আমার বার্তা অনলাইন
০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫১

রাগ নেই, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। রাগ মানিবক আবেগের অংশ বিশেষ। তবে অনিয়ন্ত্রিত রাগ মারাত্মক ক্ষতিকারক।

এক সাহাবি হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর কাছে এসে বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমাকে অল্প কথায় কিছু নসিহত করুন।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, রাগ বর্জন করো। সাহাবি কয়েকবার বললেন, আরও নসিহত করুন। প্রত্যেকবারই রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, রাগ বর্জন করো। -বোখারি শরীফ

আবু যার (রা.)–এর বরাতে বলা হয়েছে একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের বললেন, যদি তোমাদের কেউ দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় রাগান্বিত হয়, তবে সে যেন বসে পড়ে। যদি এতে রাগ চলে যায়, তবে ভালো; নয়তো সে শুয়ে পড়বে।

আতিয়াহ (রা.) থেকে বর্ণিত; আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, রাগ শয়তানের পক্ষ থেকে আসে। আর শয়তান আগুন হতে সৃষ্ট। আগুনকে পানিই নেভাতে পারে। কাজেই তোমাদের কেউ রাগান্বিত হলে সে যেন অজু করে।

ইসলাম মানুষকে রাগ নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দিয়েছে। ইসলাম মনে করে, রাগ মানুষকে জ্ঞান, বিবেক ও ধর্মের পথ থেকে বিচ্যুত করে দেয়। রাগের কারণে মানুষের আচার-আচরণ ও চিন্তায়া খারাপ প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। তাই রাগান্বিত অবস্থায় ক্ষমা করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। বিশেষ করে কোনো ব্যক্তি যদি প্রতিশোধ নেওয়ার ক্ষমতা থাকার পরও প্রতিশোধ না নেয় এবং ক্ষমা করে দেয়, তাহলে তার এ কাজটি ইসলামের দৃষ্টিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত।

ইসলামের ইতিহাসে দেখা যায়, বড় বড় মনিষীরা ক্ষমা করার ক্ষেত্রে ছিলেন অগ্রগামী। তারা রাগান্বিত হলে সূরা আল ইমরানের ১৩৪ নম্বর আয়াতটি তেলাওয়াত করতেন। এ আয়াতে বলা হয়েছে, যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল সব অবস্থায়ই অর্থ-সম্পদ ব্যয় করে এবং যারা ক্রোধ দমন করে ও অন্যের দোষ-ত্রুটি মাফ করে দেয়। এ ধরনের সৎলোকদের আল্লাহ অত্যন্ত ভালোবাসেন।

মহান ও আধ্যাত্মিকভাবে পরিশুদ্ধ ব্যক্তিরা সব সময় অন্যের জন্য দোয়া করেন। মানুষকে সংশোধন করে দেওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে আবেদন জানান। তাদের কথা হলো, কোনো আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধু-বান্ধব আপনার ওপর রেগে থাকলে ক্ষুব্ধ লোকটির কাছে গিয়ে নম্রভাবে তাকে সান্ত্বনা দিন, তার ক্ষোভ উপশমের ব্যবস্থা করুন, যাতে সে শান্ত হয়। এমনটি করলে ক্ষুব্ধ ব্যক্তিটির ক্ষোভ কমবে, তার কোনো ক্ষতি করার পরিকল্পনা থাকলে তা থেকে সরে আসবে।

রাগ নিয়ে ইসলামের এমন অবস্থানের পরও কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে ক্ষোভকে সঠিক বলে রায় দিয়েছে। সমাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, জুলুম ও বৈষম্য দূর করা এবং মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য অপরাধী ও জুলুমবাজদের মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে রাগ বৈধ। জাতীয়, ধর্মীয় ও মানবিক আদর্শ ও মূল্যবোধ রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনে রাগকে কাজে লাগাতে হবে। তবে অন্যায় দমন করতে যেয়ে অন্যায়কে যাতে প্রশ্রয় না দেওয়া না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

বস্তুত রাগ মানুষের জীবনকে সহজেই বিষাক্ত করে তুলতে পারে। রাগের মাথায় এমন সব কাজ ঘটে যেতে পারে- যা ব্যক্তি, সমাজ তথা গোটা বিশ্বের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ। তাই রাগ হলে আলেমরা ‘আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম’ পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এক হাদিসে বলা হয়েছে, যখন তোমাদের কারও রাগ আসে, তখন সে দাঁড়িয়ে থাকলে যেন বসে পড়ে। তাতে যদি রাগ দমে না যায়, তাহলে সে যেন শুয়ে পড়ে। -তিরমিজি

আর মুসলিম শরীফের এক হাদিসে আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে রাগের সময় নিজেকে সামলে নিতে পারে, সেই প্রকৃত বাহাদুর।

আরেক হাদিসে বলা হয়েছে, রাগ দেখানোর সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যে তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, আল্লাহতায়ালা তাকে কিয়ামতের দিন পুরস্কৃত করবেন।

রাগ দমনের সওয়াব

আল্লাহ বলেন, ভালো ও মন্দ (দুই-ই) সমান হতে পারে না। ভালো দিয়ে মন্দকে বাধা দাও। এতে তোমার সঙ্গে যার শত্রুতা সে হয়ে যাবে অন্তরঙ্গ বন্ধুর মতো। এ-চরিত্র তাদেরই হয় যারা ধৈর্যশীল, এ-চরিত্র তাদেরই হয় যারা মহাভাগ্যবান। যদি শয়তানের কুমন্ত্রণা তোমাকে উসকানি দেয় তবে তুমি আল্লাহর স্মরণ নেবে, তিনি সব শোনেন, সব জানেন। (সুরা হামিম সিজদা, ৩৪-৩৬)

নবীজি (সা.) বলেন, যে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও রাগ দমন করে, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তার অন্তরকে সন্তুষ্টি তারা পূর্ণ করে দেবেন।

নবীজি (সা.) আরও বলেন, সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যে তার রাগ দমন করে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তাঁর গোটা সৃষ্টির সামনে তাকে ডাকবেন এবং তাকে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী হুর নির্বাচন করতে দেবেন। (আবু দাউদ, হাদিস: ৪৭৭৭)

মানসিক শক্তি ও সাহস বাড়ানোর দোয়া

আত্মবিশ্বাস, মানসিক শক্তি ও সাহস বাড়াতে নিম্নোক্ত দোয়াগুলো পড়ুন: ১. বেশি বেশি পড়ুন এ দোয়াটি: اللَّهُمَّ ثَبِّتْنِي

জান্নাতে নবী-রাসুলদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন যারা

জান্নাতে মুমিনরা নবী ও রাসুলদের দেখতে পাবে। তবে সাধারণ মানুষের পক্ষে নবী-রাসুলদের মর্যাদা ও অবস্থানে

নবী মুসা ও মা হাজেরা (আ.) যেভাবে আল্লাহর ওপর ভরসা রেখেছিলেন

তাওয়াক্কুল অর্থাৎ, আল্লাহর ওপর নির্ভরতা মানুষকে কঠিন মুহূর্তে নির্ভার রাখতে সাহায্য করে এবং কঠিন বিপদ

আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ের দোয়া

আল্লাহর শুকরিয়া বা কৃতজ্ঞতা আদায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আল্লাহ তার বান্দাদের দুই ভাগে ভাগ করেছেন।
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের ৭ ক্রিকেটার, বাদ পড়েছেন সাকিব

৪ নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

জামালপুরে রাস্তার পাশ থেকে নবজাতক উদ্ধার

গাজাকে ভাগ করা ইয়েলো লাইনকে ইসরাইলের নতুন সীমান্ত দাবি

গুম ও নির্যাতনের মামলায় তিন সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে

বেগম রোকেয়া নারী শিক্ষার বিস্তারকে বিশিষ্টতা দিয়েছেন: তারেক রহমান

অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিক ঘৃণার আহ্বান করেছেন ড. সালেহউদ্দিন

জনগণ দায়িত্ব দিলে বিএনপি আবারও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়বে

বিজয় দিবসে সর্বাধিক পতাকা হাতে প্যারাস্যুটিং, বিশ্বরেকর্ড গড়ার প্রত্যয়

নির্বাচনে দলীয় ইশতেহার তৈরিতে অনলাইনে মতামত নেবে জামায়াত

তাইওয়ান নিয়ে জাপান-চীন উত্তেজনা চরমে

বেগম রোকেয়া পদক তুলে দিলেন প্র্রধান উপদেষ্টা

গাজীপুরে কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা

জামাল ভূঁইয়ার কাছ থেকে আইফোন উপহার নিলেন বরিশালের সানি বেপারী

মিয়ানমারে মধ্যরাতে ৩.৭ মাত্রার ভূমিকম্প

চুক্তির ক্ষেত্রে দরকষাকষির দক্ষতা বাড়ানোর নির্দেশনা সরকারের

উন্নয়ন ব্যয় কাটছাঁটে সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ কমছে

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে ছড়িয়ে পড়ছে সংঘাত, এ পর্যন্ত নিহত ৭

তেঁতুলিয়ায় টানা চার দিন ১০ ডিগ্রির ঘরে পারদ, বাড়ছে শীতজনিত রোগী

পোস্টাল ব্যালট অ্যাপে প্রবাসীদের নিবন্ধন ছাড়াল ২ লাখ ৭৪ হাজার