ডাকসু নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট টাইমফ্রেম ঘোষণা মে ও জুনের মধ্যে গ্রহণযোগ্য অংশগ্রহণমূলক ডাকসু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) ডাকসু ভবনের সামনে দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি, ঢাবি শাখার আহ্বায়ক ও বিভিন্ন স্তরের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের যে কমিটমেন্ট, সেই কমিটমেন্ট হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংসদের নির্বাচন দেওয়া।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অভ্যুত্থানের মূল পাদপীঠ হিসেবে কাজ করেছে উল্লেখ করে বিন ইয়ামিন বলেন, বাংলাদেশের সংস্কার ও গুণগত মান পরিবর্তন চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সংস্কার চায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির যে পরিবর্তন চায় তা করা বেশি জরুরি। এ কারণে জাতীয় নির্বাচনের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের নির্বাচন দেওয়া জরুরি।
বিন ইয়ামিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক দাসত্বমূলক রাজনীতি থেকে মুক্ত রাখতে ডাকসু নির্বাচন জরুরি। এটিকে (ডাকসু নির্বাচন) ক্যালেন্ডার কর্মসূচি করারও দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, গতকাল (১৫ তারিখ) ডাকসু নির্বাচনের টাইমলাইন ঘোষণা করলেও, সেখানে নির্বাচনের কোনো সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। তাই আপনারা (বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন) যদি অনতিবিলম্বে ডাকসু নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা না করেন তাহলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্দোলন নামতে বাধ্য হবো। যদি কোনো অদৃশ্য শক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ওপর ভর করে ডাকসু বানচালের চেষ্টা করে তাহলে আমরা তাদের মুখোশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামনে খুলে দেবো।
এ সময় তিনি জুনের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বলেন, মে মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট টাইমফ্রেম ঘোষণা করতে হবে। জুনের মধ্যে, কোরবানি ঈদের আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিযোগিতামূলক ডাকসু নির্বাচন আশা করি।
আমার বার্তা/এল/এমই