দুই দিনব্যাপী মেহেদী উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে শাখা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী সংস্থা। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ উৎসবের আয়োজন করে সংগঠনটি। এই উৎসবে ছাত্রদের প্রবেশ নিষেধ করে একটি ফেস্টুন টানানো হয়েছে। এতে লেখা ছিল, ‘প্রিয় ভাইয়েরা, আপনার ভেতরে প্রবেশ ও উকি মারা থেকে বিরত থাকুন। ইতি, আপনার বোনেরা।’
জানা গেছে, বটতলার পাশেই সুসজ্জিত ছাউনি টাঙিয়ে চারটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি বুথ সংগঠন সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর জন্য, বাকিগুলোতে উপহার, ‘অনুভূতি বক্স’ এবং মেহেদী দেওয়ার জন্য আলাদা আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া উৎসবে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিভিন্ন ব্যানার টানানো হয়েছে। এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সংগঠনটি নতুন সদস্য আহ্বান করছেন এবং নারী শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রচারপত্র বিতরণ করছেন। মেহেদী উৎসবের প্রথম দিনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড় ও উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। অনেকে লাইনে দাঁড়িয়েও মেহেদী নিচ্ছেন।
বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মরিয়ম খাতুন বলেন, “ইসলামী ছাত্র সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত এই মেহেদি উৎসবের ভেতরের পরিবেশ অত্যন্ত সুন্দর। মেয়েরা একজন আরেকজনকে মেহেদি দিচ্ছে। এই দৃশ্যটা দেখতেই অনেক ভালো লাগছে। সাথে আমি নিজেও মেহেদি দিয়েছি। তো অনেক সুন্দর একটা আয়োজন করেছে ইসলামী ছাত্রী সংস্থা।”
তিনি আরও বলেন, “ওদের কার্যক্রম সম্পর্কে আমার আগে বিশেষ কোনো ধারণা ছিল না, আগে জানতাম তারা শুধু পর্দা নিয়ে কাজ করে তবে ইদানিং দেখছি যে তারা বেশ ভালো ভালো কিছু কাজ করছে। তো আমি আশা রাখছি সংগঠনটি আরও ভালো কিছু করবে। মেহেদি উৎসব বা অন্যান্য আরও বিভিন্ন বিষয়ে আয়োজন করা যেতে পারে। কারণ এই বিষয়গুলা ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের মাঝে সৌহার্দ্যপূর্ণ মনোভাব বৃদ্ধি করে এবং সবার মন মানসিকতা আরও উন্নত হয়।”
সংগঠনটির শাখা সভানেত্রী ইয়াসমিন আক্তার বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী মেহেদি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এটি সুস্থ সংস্কৃতিচর্চার অংশ হিসেবে শুধুমাত্র ছাত্রীদের নিয়ে একটি ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন। আমাদের শাখা নিয়মিতভাবেই নানাবিধ ইতিবাচক কর্মসূচির আয়োজন করে থাকে। বিগত ফ্যাসিস্ট সময়ে এমন আয়োজন বৃহত্তর পরিসরে করা সম্ভব হয়নি। তবে ফ্যাসিস্ট পরবর্তী সময়ে এসে আমরা ছাত্রীদের সম্পৃক্ত করে কার্যক্রমগুলো পুনরায় শুরু করেছি এবং ইনশাআল্লাহ সামনে তা আরও বিস্তৃত হবে। আমরা এই উৎসবের মাধ্যমে সকল ছাত্রীবোনের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করতে চাই।”
আমার বার্তা/আজাহারুল ইসলাম/এমই