রাজধানীতে হঠাৎ বেড়েছে চোরাগুপ্তা হামলা। ফ্লাইওভার থেকে শুরু করে যাত্রীবাহী বাস, মোটরসাইকেল কিংবা প্রাইভেটকার থেকেও রাতের আঁধারে এ ককটেল হামলা চালাচ্ছে দুর্বৃত্তরা।
সবশেষ গত ৯ জুলাই রাত পৌনে ১১টায় রাজধানীর বাংলামটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কার্যালয়ের সামনে হঠাৎ ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। মুহূর্তেই ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় চারপাশ।
এ নিয়ে এনসিপির কার্যালয়ের সামনে পর পর তৃতীয়বারের মতো হামলার ঘটনা ঘটল। এর আগে ২ জুলাই রাতে পদযাত্রার গাড়িতেও হয় হামলা। ২৩ জুন সদস্য সচিব আখতারকে লক্ষ্য করে হয় হামলা। তিন ঘটনায় আহত হয়েছেন পাঁচজন। পতিত স্বৈরাচারই এসব ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগ দলটির।
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মুসফিক উস সালেহীন বলেন, ‘এ ধরনের ছোটখাটো ককটেল হামলা দিয়ে আমাদের দমানো যাবে না। তবে স্বৈরাচারের দোসররা যে এখনও সক্রিয়, তার প্রমাণ এই চোরাগুপ্তা হামলা।
১৫ দিনের ব্যবধানে মহাখালী ফ্লাইওভার থেকে আমতলী, কাঁচাবাজার ও এসকেএস টাওয়ারের সামনে হয় ককটেল হামলা। ৬ জুলাই ফার্মগেট মোড়ে ককটেল বিস্ফোরণে আহত হন তিনজন।
গত এক মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে, মৌচাক, হাতিরপুল, কাকরাইল, আগারগাঁওসহ ৯টি স্থানে ২০টির মতো হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন নগরবাসী।
রফিক নামে এক দোকানি বলেন, ‘চোরাগুপ্তা হামলায় অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আমরা সবাই আতঙ্কে আছি।’
জিহাদ নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ‘ককটেল কাল রাস্তায় ফেলা হয়েছে, আজ আমার দোকানে পড়তে পারে। আমরা খুব নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। দোকান থেকে বের হতে ভয় লাগছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হক সময় সংবাদকে বলেন, ‘এমন চোরাগুপ্তা হামলা আসলে বড় সহিংসতার পূর্বাভাস। এই বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত অপরাধীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা।’
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ‘গুরুত্ব দিয়েই বিষয়গুলো তদন্ত করা হচ্ছে। জড়িতদের দ্রুতই আইনের আওতায় আনা হবে।’
বেশিরভাগ হামলাই হচ্ছে রাত ৮ থেকে ১০টার মধ্যে। এ সময়ে টহল বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন ডিএমপির এই কর্মকর্তা।
আমার বার্তা/এল/এমই