ঘরে ঘরে পাইপলাইনে গ্যাস সংযোগ, ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করা, মেডিকেল কলেজ স্থাপনসহ ৬ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে ভোলায় ইন্ট্রাকোর রিফুয়েলিং এলপিজি সিলিন্ডার স্টেশনে তালা দিল 'আমরা ভোলাবাসী'।
শনিবার (২৪ মে) পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ১১টা থেকে জেলা শহরের বাংলাস্কুল মাঠে অবস্থান নিয়ে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা। এতে যোগ দেয় ভোলার বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবিসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
সমাবেশ শেষে দুপুর দেড়টার দিকে আন্দোলনকারীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এসে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বেপারি বাজার এলাকায় অবস্থিত ইন্ট্রাকোর রিফুয়েলিং এলপিজি স্টেশন ঘেরাও করেন এবং স্টেশনটিতে তালা দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্টেশনটির সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেন আন্দোলনকারীরা।
এসময় আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করে বলেন, ভোলার প্রতিটি ঘরে ঘরে পাইপলাইনে গ্যাস সংযোগ, একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপন ও ২৫০ শয্যা হাসপাতালটিকে আধুনিকায়ন, ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করা, গ্যাস ভিক্তিক বৃহৎ সার কারখানাসহ ইপিজেড গড়ে তোলা, ভোলাকে স্থায়ীভাবে নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করা, ভোলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করাসহ আমাদের ৬টি ন্যায্য দাবি। দীর্ঘদিন ধরে আমরা ৬ দফা দাবিতে আন্দোলন করলেও সরকার আমাদের দাবিগুলোর বিষয়ে কর্ণপাত করছেন না। অথচ ইন্ট্রাকোর মাধ্যমে ভোলা থেকে প্রতিদিন গ্যাস পাচার হচ্ছে।
এ বিষয়ে 'আমরা ভোলাবাসী' কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রাইসুল আলম বলেন, ৬ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে আমরা দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছি। এটা আমাদের মৌলিক অধিকার, ন্যায্য দাবি। দাবি আদায়ের লক্ষে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের ইন্ট্রাকো কোম্পানির ভোলা স্টেশনে তালা মেরেছি। যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবি আদায় না হবে ততদিন পর্যন্ত ভোলা থেকে গ্যাস নেওয়া বন্ধ থাকবে।
রাইসুল আলম আরও বলেন, আমাদের দাবির বিষয়ে সরকারের পরবর্তী সিদ্ধান্তের পরিপেক্ষিতে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।
আমার বার্তা/এল/এমই