শরীরজুড়ে লাল রং, সঙ্গে হালকা একটু করে সোনালি আভা। গোসল করার প্রয়োজন হলে, ক্ষুধা লাগলে, কখনো আকাশে মেঘ জমলে ডাকাডাকি করতে থাকে। ওর ডাকাডাকিতে আমি অনেক কিছুই বুঝতে পারি। পরিস্থিতি দেখে বুঝে নিই, আমার রাজকুমার ও রাজ সুলতান কোনো সমস্যা হয়েছে কি না বা কী বোঝাতে চাইছে।
নিজের পালন করা রাজকুমার প্রায় ৬৬০ কেজি প্রায় ১৬ মণ , রাজ সুলতান ৩৬০ কেজি প্রায় ৯ মন ওজনের ষাঁড়টির সম্পর্কে খামারে কর্মচারি রুমেল কথাগুলো বলেছেন। মৌলভীবাজার সদর উপজেলা এই খামারি ষাঁড়টি আসন্ন কোরবানির ঈদে উপলক্ষে বিক্রির ডাক তুলেছেন।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মনুমুখ ইউনিয়নের সেওয়াই জুড়িগ্রাম মনু মুখ জাহাঙ্গীর লন্ডনীর বাড়ি। জাহাঙ্গীর লন্ডনী গড়ে তুলেছেন কে জে মনু ডেইরী ফার্ম খামার। মৌলভীবাজার শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে মৌলভীবাজার -শেরপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে এই খামার।
খামারের কর্মচারী রুমেল রাজকুমার সম্পর্কে বলেন, ‘আমার জীবনে এত বড় গরু আগে দেখিনি। প্রতিদিন তিন থেকে চারবার গোসল করাতে হয়। সকাল আটটা, বেলা দুইটা থেকে আড়াইটা এবং সন্ধ্যায় খাবার দিই। খাবারে গমের ছাল, চালের গুঁড়া, খড়, খৈল, খেসারি, ছোলা ও কাঁচা ঘাস দিই। গড়ে প্রতিদিন ১০০০ হাজার থেকে ১২০০ শত টাকার খাবার লাগে। রাজ সুলতান এর গড়ে প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৯০০ শত টাকার খাবার লাগে ।
রুমেল বলেন খামারে এসে যদি আদর না করি, রাজকুমার গর্জন করতে থাকে। গায়ে হাত দিয়ে আদর করার পর গর্জন থামে। এ ছাড়া খুব শান্ত প্রকৃতির। কখনো কাউকে আঘাত করে না। যে কারণে তার প্রতি অনেক মায়া-মহব্বত তৈরি হয়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ দফতর কর্মকর্তা ডা. আশরাফুল আলম খান জানান, ভারতীয় গরু কোনভাবে যাতে প্রবেশ করতে না পারে, এজন্য নেয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা। জেলা প্রাণিসম্পদ দফতর দেয়া তথ্যমতে, এ বছর জেলায় কোরবানির ঈদের জন্য প্রায় ৮০ হাজার ৬ শো ৩৭টি গবাদিপশু লালন-পালন করে প্রস্তুত করা হয়েছে।