ভোলার দ্বীপ উপজেলা মনপুরায় যখন এখনো বেড়িবাঁধের নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হয়নি, ঠিক তখনই বঙ্গোপসাগর থেকে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’। ফলে বেড়িবাঁধবিহীন ও অরক্ষিত এলাকাগুলোর মানুষজন তীব্র আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
মনপুরা উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে নতুন করে নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধের কাজ এখনো চলমান। তবে অনেক স্থানে কাজ মাঝপথে থেমে আছে বা ধীরগতিতে চলছে, যেটা এলাকাবাসীর মাঝে হতাশা ও ক্ষোভের জন্ম দিচ্ছে।
স্থানীয় উপকূলের বাসিন্দারা জানান, "ঘূর্ণিঝড় আসছে শুনেই আমরা আতঙ্কে আছি। যেসব জায়গায় বাঁধ নেই, সেখানকার মানুষ এখন থেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার চেষ্টা করছে।"
মনপুরা উপজেলার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জএলাকা চর কলাতলী ইতিমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে, রাস্তাঘাট, বাজার সহ ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে, হাজিরহাট ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নেও পানি ঢুকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে,
প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম ও দুর্যোগকালীন সময়ে মনপুরাবাসী উপকূলরক্ষাবাঁধের প্রয়োজনীয়তার কথা বলে আসলেও কার্যকর কোনো স্থায়ী উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়। এবার ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত যদি শক্তিশালী হয়, তবে নতুন নির্মাণাধীন অংশ ভেঙে গিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুতের কাজ চললেও, বাঁধ না থাকায় অনেক পরিবার ইতোমধ্যে নিজেদের ঘর ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, "অধুনা নির্মাণাধীন বা দুর্বল বেড়িবাঁধ দিয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঠেকানো সম্ভব নয়। মনপুরার মতো উপকূলীয় এলাকাকে টিকিয়ে রাখতে হলে দ্রুত বাঁধ নির্মাণ সম্পন্ন করতে হবে এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা জোরদার করতে হবে।"