দখলকৃত পশ্চিম তীরে একটি ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ।
তিনি বলেছেন, আমরা ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইহুদি ইসরায়েলি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবো।
এদিকে শুক্রবার জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সংস্থা ওসিএইচএ-এর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, গাজা বিশ্বের একমাত্র নির্দিষ্ট এলাকা যেখানে পুরো জনসংখ্যা দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে।
ওসিএইচএর মুখপাত্র জেন্স লার্কে বলেন, গাজা এখন পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুধাপীড়িত স্থান। তিনি আরও বলেন, এটাই একমাত্র নির্ধারিত অঞ্চল যেখানে পুরো জনসংখ্যা অর্থাৎ ১০০ শতাংশ মানুষ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে।
এই ভয়াবহ মানবিক সংকটের প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ত্বরিত সহায়তা ও মানবিক প্রবাহ নিশ্চিতের আহ্বান জানাচ্ছে।
এর আগে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ২২টি নতুন অবৈধ বসতি স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল সরকার। এর মধ্যে কিছু তথাকথিত ‘আউটপোস্ট’ বা সরকারিভাবে অননুমোদিত বসতিকে বৈধতা দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পথে বড় বাধা বলে আখ্যায়িত করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ও অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচ যৌথভাবে এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেন। কাটজ বলেন, এই উদ্যোগ জুডিয়া ও সামারিয়ায় (পশ্চিম তীরের জন্য ইসরায়েলি পরিভাষা) ইসরায়েলের উপস্থিতি আরও দৃঢ় করবে। তিনি আরও বলেন, এটি একটি কৌশলগত পদক্ষেপ, যা একটি সম্ভাব্য ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনাকে রুখে দেবে, কারণ সেটি ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
সূত্র: এএফপি