গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় শ্যামল মধু(৫৫) নামের এক ব্যাক্তির আত্মহত্যায় প্ররোচনা প্রদানের অভিযোগ উঠছে এক নারী সদস্যদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, কোটালীপাড়া উপজেলার রামশীল ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য বর্নিতা মধু একই গ্রামের শ্যামল মধু (৫৫) প্রায় ৫ বছর আগে ৮০ হাজার টাকা ধার হিসেবে নিয়েছিলো। অল্পকিছুদিনের মধ্য টাকাটা ফেরত দেয়ার কথা থাকলেও পাঁচ বছরে একটি টাকাও ফেরৎ দেয়নি বর্নিতা মধু। এইদিকে শ্যামল মধুর ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন পড়ে। এই অবস্থায় শ্যামল মধু তার ধারের টাকা চাইতে গেলে অভিযুক্ত বর্নিতা টাকা ফেরৎ না দিয়ে তার সাথে ক্ষমতার ভয় দেখিয়ে আরো খারাপ ব্যাবহার করে। একদিকে পাওনা টাকা আদায় করতে গিয়ে অপমানিত হয় অন্যদিকে ছেলের চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে না পারার ব্যার্থতা সহ্য না হওয়ায় বৃহস্পতিবার নিজ বসতঘড়ের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মাহত্যা করে।
এই ব্যপারে বর্নিতা মধুর জানতে চাইলে, তিনি উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের অপেক্ষা করতে বলে কৌশলে বাসা থেকে পালিয়ে যায় এরপর বর্নিতা মধুর ছেলে গ্রীন লাইফ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষার্থী মৃদুল মধু কোন প্রকার রিপোর্ট না করতে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ ও হুমকি প্রদান করেন।
রামশীল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, নিহত শ্যামল মধু ইউপি সদস্য বর্নিতা মধুর কাছে টাকা পেত এই ঘটনা সত্যি। এই বিষয়ে আমাদের পরিষদে কয়েকদফা শালিশ বৈঠকেও বর্নিতা মধু পাওনা টাকার কথা স্বীকার করেছে। তবে আত্মহত্যার ঘটনায় কেউ প্ররোচনা দিয়েছে কিনা আমার জানা নেই।
ভাঙ্গারহাট নৌ-তদন্দ কেন্দ্রের আইসি মো.সিরাজুল ইসলাম বলেন, আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।