খুলনায় ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এবার সার্কিট হাউজ ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি। সকাল সাড়ে ৭টায় খুলনা টাউন জামে মসজিদে ঈদের প্রথম এবং প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন খুলনার বরণ্যে আলেম ও জেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ সালেহ। এর আগে সকাল ৭টায় নগরীর বিভিন্ন মসজিদে ঈদের জামাত আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীরা।
ঈদের নামাজ শেষে খুতবা ও মোনাজাতে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলিমদের ওপর আল্লাহর রহমত প্রার্থনায় বিশেষ দোয়া করা হয়। এছাড়াও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের জন্য দোয়া, আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করা হয়।
খুলনা টাউন জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাতে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ও কেসিসির প্রশাসক মো. ফিরোজ সরকার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা, সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ সরকারি কর্মকর্তাসহ নগরীর বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।
সকাল ৭টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাাপক ড. মো রেজাউল করিমসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী অংশ নেন।
এছাড়া নগরীর ময়লাপোতা বায়তুল আমান জামে মসজিদে প্রথম জামাত ৭টায় ও দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মডেল মসজিদে ঈদের জামাত সকাল ৭টায়, ইকবাল নগর জামে মসজিদে সকাল ৭টায় একটিমাত্র জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় নিরালা তাবলিগ মসজিদে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নগরীর ইকবাল নগর জামে মসজিদে সকাল ৭টায় একটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
রূপসা স্ট্যান্ড রোডস্থ বায়তুশ শরফ জামে মসজিদ কমপ্লেক্সে সকাল সাড়ে ৭টায় এবং রূপসা ফেরিঘাটস্থ হযরত আবু বক্কর সিদ্দিকী (রা.) জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
নগরীর খালিশপুর বায়তুন নূর জামে মসজিদ ও সোনাডাঙ্গা হাফিজ নগর মসজিদে আমানাতে সকাল ৭টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনায় আহলে হাদিস সংগঠনের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় শহীদ হাদিস পার্কে সকাল ৭টায়। নগরীর দৌলতপুর থানাধীন পাবলা আহলে হাদিস জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৭টায়। খুলনার আড়ংঘাটা এলাকার আহলে হাদিস জামে মসজিদ ঈদগাহে সকাল ৬টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়াও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় ও ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে পৃথক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
মসজিদ ও ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল নামে। পরে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন।