দীঘিনালায় বিদ্যুৎ অফিস এর দূর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত।
অভিযোগ জমতে জমতে হয়ে উঠে ক্ষোভ আর এই ক্ষোভ থেকেই বিক্ষোভে পরিনত হয়।খাগড়াছড়ি জেলার প্রাণ কেন্দ্র দীঘিনালা উপজেলা, আর এই উপজেলা বাসীর দুর্ভোগ এর প্রধান কারণ হলো বিদ্যুৎ সমস্যা। বিদ্যুৎ এর লোডশেডিং এর কারণে দীঘিনালার সর্বসাধারণের জীবন যাত্রায় ব্যাঘাত ঘটছে।তারি প্রেক্ষিতে দীঘিনালার সর্বসাধারণ জনমুদ্র নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
১ই জুলাই মঙ্গলবার সকাল ১১টায় দীঘিনালা বিদ্যুৎ অফিস এর দূর্নীতি ও অনিয়নের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে দীঘিনালার সর্বসাধারণ এতে অংশগ্রহণ করেন ছাত্র, সচেতন নাগরিক,ও ব্যবসায়ীবৃন্দ।
ঠিক মত বিদ্যুৎ না পেলেও দীঘিনালা বাসী পেয়েছে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজ কিছু কর্মকর্তা এমনটাই জানালেন বিক্ষোভ কারীরা।
বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দেন ছাত্র প্রতিনিধি মো. খালেদ হাসান রবিন, তরিকুল ইসলাম ফাহিম, মো. মারুফ খান, ও মো. শাকিলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। তাঁদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন সর্বস্তরের জনগন।মিছিলটি বোয়ালখালী বাজার থেকে শুরু করে দীঘিনালা বিদ্যুৎ অফিস পরে দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে এসে জড়ো হন বিক্ষুব্ধ ভুক্তভোগী জনতা।
ভুক্তভোগীরা বিদ্যুৎ অফিসের নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেন দীঘিনালা বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।ভুক্তভোগীরা আরো বলেন অফিসে আসলে কর্মকর্তারা বিভিন্নভাবে হয়রানি ঘোষ ও ভয়-ভীতি পদান করেন, যেমন নতুন সংযোগ,মিটার প্রতিস্থাপন বিল সংশোধন এর মত প্রতিটি সেবার জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে অবৈধ ভাবে অর্থ আদায় করেন। অর্থ দিতে অস্বীকৃতি জানালে গ্রাহকদের নানা ভাবে হয়রানি করেন বলে জানা ভুক্তভোগীরা।
এসময় বক্তারা বলেন,দীঘিনালা বিদ্যুৎ অফিস জনগণের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন।করছেন ``জনসেবার নামে গড়েতুলেছেন ঘুষ বানিজ্য । বক্তারা আরও বলেন,দীঘিনালা প্রশাসন এর হস্তক্ষে না থাকায় দীঘিনালা বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা ঘুষের মহোৎসবে মেতে উঠেছে। এখন সময় দুর্নীতির বিষ দাত উপড়ে ফেলার। যেখানে অন্যায় সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
বিক্ষোভকারীরা বলেন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচার এর দাবী করে ৪৮ঘন্টার সময় বেধে দেন এবং দাবি আদায় না হলে বৃহত্তর আনন্দোলনের ডাক দেওয়া।