নীলফামারীর উত্তরা রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) বিক্ষুব্ধ শ্রমিক ও যৌথবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে হাবিব নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে প্রথমে শ্রমিক ও মালিক পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। এরপর সেনা সদস্য ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় তাদের টিয়ারশেল ও গুলিবর্ষণের পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
নিহত হাবিব ইপিজেডের ভেনচুরা লেদার ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের শ্রমিক ছিলেন। তিনি সদর উপজেলার মাছিরচাক এলাকার বাসিন্দা।
জানা যায়, নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে এভার গ্রিন প্রোডাক্ট ফ্যাক্টরি (বিডি) লিমিটেডের শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষের সংঘর্ষে হাবিব নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। আহতদের নীলফামারী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শ্রমিকদের অভিযোগ, যথাযথ নোটিশ ছাড়াই ছাঁটাই, কর্মপরিবেশের অনিয়ম, নারী শ্রমিকদের সঙ্গে অসভ্য আচরণ, বেতন বৃদ্ধি হলেই হঠাৎ ছাঁটাই, নামাজে বিরোধিতা, এক শুক্রবার ডিউটি করলে পরের শুক্রবার ছুটি এবং পাঞ্চ মেশিন অনুযায়ী বেতন নির্ধারণসহ মোট ২৩ দফা দাবিতে তারা আন্দোলনে নামেন।
গত তিন দিন ধরে এ আন্দোলন চলছিল। মঙ্গলবার কারখানার বাইরে এ নিয়ে উত্তেজনা বাড়ে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। সেনা সদস্যদের টিয়ারশেল ও গুলিবর্ষণের পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এতে ঘটনাস্থলেই হাবিব নিহত হন এবং অন্তত ৬ শ্রমিক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: নেত্রকোনায় জমি নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষ, নিহত ২
এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
নীলফামারী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আবদুর রহিম জানান, এক যুবককে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয় এবং আরও ছয়জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আমার বার্তা/এল/এমই