রাজধানীর বনশ্রীতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা ডিবি। অভিযানে লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ডিএমপির মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অভিযান সংশ্লিষ্ট ডিবি পুলিশের পদস্থ এক কর্মকর্তা জানান, এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে পেশাদার একটি ডাকাত দল। যারা গুলি চালিয়ে স্বর্ণ লুট করার আগে কয়েক দিন জায়গা রেকি করেছে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সদস্য নিয়ে ডাকাত দলটি কাজ করে। তাদের সবার নামে একাধিক মামলা আছে।
এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর রামপুরার বনশ্রী এলাকায় ডি ব্লকের ৭ নম্বর রোডের ২০ নম্বর বাড়ির সামনে আনোয়ার হোসেন নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি হন। আনোয়ার হোসেন তাঁর সঙ্গে থাকা স্বর্ণ ও টাকা লুট হয়েছে বলে জানান।
সে সময় ঢামেকে আহত অবস্থায় আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অলংকার নামে আমার জুয়েলারি দোকান আছে। রাতে দোকান বন্ধ করে ২০০ ভরি স্বর্ণ ও ১ লাখ টাকা নিয়ে বাসার গেটে আসি। এ সময় তিনটি মোটরসাইকেলে প্রায় সাতজন আমার কাছে থাকা ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিতে গেলে আমাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। পরে আমার সঙ্গে থাকা স্বর্ণ ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।’
রাজধানীর বনশ্রীতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি, ২০০ ভরি স্বর্ণ লুটের অভিযোগরাজধানীর বনশ্রীতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি, ২০০ ভরি স্বর্ণ লুটের অভিযোগ
ওই বাসার তত্ত্বাবধায়ক (কেয়ারটেকার) পিয়ারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, ‘আনোয়ারের চিৎকার শুনে আমরা সবাই বের হওয়ার চেষ্টা করি। পরে গুলির শব্দ পাওয়ায় কেউ আর সাহস করেনি। মোটরসাইকেল চলে যাওয়ার পর রাস্তায় নেমে সবাই তাঁকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দেখতে পাই।’
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর রামপুরা থানার বনশ্রী এলাকায় আনোয়ার হোসেনকে গুলি করে তাঁর কাছ থেকে প্রায় ২০০ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ১ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী হোসনে আরা রামপুরা থানায় মামলা করেন। মামলায় ছয় থেকে সাতজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হলেও এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
আমার বার্তা/এমই