সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক ও হাইব্রিড গাড়ি আমদানির ঋণপত্রে (এলসি) নগদ মার্জিনের শর্ত শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ছাড়া ইলেকট্রিক ও হাইব্রিড ছাড়া অন্যান্য গাড়ি আমদানিতে নগদ মার্জিন অর্ধেক করা হয়েছে।
আগে গাড়ি আমদানির এলসি খোলার সময় ১০০ শতাংশ নগদ মার্জিন জমা দিতে হতো। এখন ইলেকট্রিক ও হাইব্রিড গাড়ি আমদানিতে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নগদ মার্জিন নির্ধারণ করতে পারবে। হাইব্রিড ছাড়া অন্যান্য গাড়ির ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ জমা দিয়ে এলসি করতে পারবেন আমদানিকারকরা।
বৃহম্পতিবার (২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, দেশের মুদ্রা ও ঋণ ব্যবস্থাপনা অধিকতর সুসংহত রাখার জন্য মোটরকার আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ নগদ মার্জিন সংরক্ষণের জন্য নির্দেশনা রয়েছে। তবে জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব বিবেচনায় বর্তমানে বিশ্বব্যাপী সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক ও হাইব্রিড গাড়ির ব্যবহারকে নীতিগতভাবে অগ্রাধিকার প্রদান করা হচ্ছে। ঘনবসতিপূর্ণ এ দেশে এ ধরনের পরিবহন মাধ্যম কার্বণ নিঃসরণ হ্রাস ও বায়ুর গুণমান সূচক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। এসব বিষয় বিবেচনায় সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক ও হাইব্রিড মোটরকারের আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নগদ মার্জিন সংরক্ষণ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
তবে, সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক ও হাইব্রিড মোটরকার ব্যতীত অন্যান্য মোটরকারের (সেডানকার, এসইউভি, এমপিভি ইত্যাদি) আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নগদ মার্জিন সংরক্ষণ করতে হবে। এ নির্দেশনা আগামী ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ২৯ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আমার বার্তা/এমই