আগামী অর্থবছরের (২০২৫-২৬) বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য আসতে পারে স্বস্তির বার্তা। বাড়ানো হতে পারে বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা। বর্তমানে করদাতারা বছরে সাড়ে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে করমুক্ত সুবিধা পান। আসন্ন বাজেটে এই সীমা ২৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর চিন্তা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সূত্র জানায়, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা থেকে ৪ লাখ টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব বিবেচনায় রয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে সাধারণ ও নিম্ন আয়ের করদাতারা যে চাপের মুখে পড়েছেন, তাদের কিছুটা স্বস্তি দিতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এনবিআরের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, এক বছরের বেশি সময় ধরে খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বাড়ায় করদাতাদের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। তাদের চাপ কমাতেই করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, টানা দুই অর্থবছর করমুক্ত আয়সীমা অপরিবর্তিত ছিল। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৩ লাখ করা হয়।
ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, করমুক্ত সীমা বাড়ালে ভোক্তাশ্রেণির হাতে অর্থের সরবরাহ বাড়বে, যা দেশীয় বাজারে চাহিদা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
সম্প্রতি এফবিসিসিআই, ঢাকা চেম্বারসহ অনেকেই করমুক্ত আয় সীমা বাড়ানোর দাবী জানায়। তারা বলেন, করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো হলে ভোক্তা ব্যয় বাড়বে, যা অভ্যন্তরীণ বাজারকে চাঙ্গা রাখতে সহায়তা করবে। এটি স্থানীয় উৎপাদনকারী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ইতিবাচক বার্তা।
এ ছাড়া আগামী বাজেটে করহার কাঠামোতেও কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে। বর্তমানে করমুক্ত সীমা অতিক্রমের পর প্রথম ১ লাখ টাকার ওপর ৫ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। এবার সেই স্তরের সীমা বাড়ানো হতে পারে, যদিও করহার অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বর্তমানে চালু আছে ৫. ১০, ১৫, ২০ ও ২৫ শতাংশ করহার।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যমতে, ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত এক বছরে গড় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গত বছর জুলাইয়ে এই হার উঠেছিল ১৪ দশমিক ১০ শতাংশে, যা গত ১৩ বছরে সর্বোচ্চ।
আমার বার্তা/এল/এমই