
বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানি বারাকা পাওয়ার লিমিটেড সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে জামানত ছাড়াই ঋণ দিয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) মেয়াদ শেষ হওয়ায় কোম্পানিটির সিলেটের বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়ের ওপর নির্ভর করে চলছে। এ অবস্থায় বারাকা পাওয়ারের ব্যবসায়িক ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে নিরীক্ষক।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনের নিরীক্ষক কাজী জহির খান অ্যান্ড কোং, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস তার মতামতে জানিয়েছে, সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে জামানত ছাড়াই ১৫৫ কোটি ৩২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৭ টাকা ঋণ দিয়েছে বারাকা পাওয়ার। নথিপত্র দুর্বল থাকায় এ টাকা ফেরত আসবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। ফলে কোম্পানিটির নতুন বিনিয়োগের ক্ষমতাও কমে গেছে।
নিরীক্ষক আরও জানিয়েছে, বিপিডিবির সঙ্গে পিপিএর মেয়াদ শেষ হওয়ায় সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে অবস্থিত কোম্পানিটির ৫১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ২০২৪ সালের ২৩ অক্টোবর থেকে বন্ধ রয়েছে। আরও পাঁচ বছরের জন্য চুক্তি নবায়নের আবেদন করলেও বিপিডিবি থেকে এখনো অনুমোদন পায়নি বারাকা পাওয়ার। ফলে এখান থেকে কোম্পানিটির নিজস্ব কোনো আয় হচ্ছে না। এ অনিশ্চয়তার কারণে কোম্পানিটির ব্যবসায়িক ভবিষ্যৎ শঙ্কায় রয়েছে।
তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বারাকা ফ্যাশন লিমিটেড লোকসানে রয়েছে। এ বছরের ৩০ জুন শেষে প্রতিষ্ঠানটির পুঞ্জীভূত লোকসান ৬৮ কোটি ৯১ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এছাড়া নিরীক্ষার সময় কোম্পানিটির সম্পদ ব্যবস্থাপক স্থায়ী সম্পদের তালিকা ও বিবরণী সরবরাহ করতে পারেনি।
সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৪-২৫ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি কোম্পানিটির পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে বারাকা পাওয়ারের ইপিএস হয়েছে ৩৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ১২ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৫ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৬৩ পয়সায়।
এদিকে সর্বশেষ প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২৫-২৬ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বারাকা পাওয়ারের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ১২ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৮১ পয়সায়।
আমার বার্তা/এলএমই

