চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে প্রশাসনের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে উপাচার্য ও প্রধান প্রক্টরের পদত্যাগসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলার ঝুপড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন: বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি জসদ জাকির, সহসভাপতি উম্মে সাবা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মশ্রেফুল হক রাকিব এবং পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুদর্শন চাকমা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সংগঠক ধ্রুব বড়ুয়া।
ধ্রুব বড়ুয়া ৩১ আগস্ট থেকে শুরু করে পুরো ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে বলেন, ‘গত মাসে গুপ্ত হামলা থেকে আজ প্রকাশ্যে হামলা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সংঘর্ষের সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল সেন্টারে অক্সিজেনসহ প্রয়োজনীয় সুবিধার অভাব স্পষ্ট হয়ে ওঠে। অথচ উপাচার্য ও প্রক্টর শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে উল্টো তাদের ওপর দোষ চাপানোর মতো অবস্থান নিয়েছেন। এই ব্যর্থ প্রশাসনের পদত্যাগ ছাড়া শিক্ষার্থীদের আর কোনো বিকল্প নেই।’
এ বিষয়ে তিনি আরও অভিযোগ করেন, প্রধান প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পেরে উল্টো বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের গরু লুটের ঘটনাতেও তিনি প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করেছেন। এমন শিক্ষক ও প্রক্টরের বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অনৈতিক। তাকে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করা উচিত।’
এ সময় বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি জসদ জাকির ছয় দফা দাবি ঘোষণা করেন। দাবিগুলো হলো:
১. আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার প্রশাসনের নেয়া।
২. জোবরার স্থানীয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার নিশ্চিতকরণ।
৩. রিকশা ও সিএনজির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে ক্যাম্পাসে ই-কার ও চক্রাকার বাস চালু।
৪. শিক্ষার্থীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিতে আবাসনের রোডম্যাপ ও ভাতা চালু।
৫. ১ ও ২ নং গেট এবং ১ ও ২ নং রেলক্রসিং এলাকায় জোরালো নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।
৬. শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় উপাচার্য ও প্রধান প্রক্টরের ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ।
আমার বার্তা/এল/এমই