ছুটির দিনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি ও হল সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রার্থীরা।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টম্বর) সকাল থেকেই তারা প্রচারণা শুরু করেন। এদিন পরিবহন মার্কেট ও আবাসিক হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ এবং ভোট প্রার্থনা করেন প্রার্থীরা।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্তে বন্ধের পর আবারো ১০ শর্তে পোষ্য কোটা বহাল করায় আন্দোলনমুখী হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থী ও প্রার্থীরা। তারা জুমার নামাজের পর পোষ্য কোটা বাদ দিয়ে তা ফের চালুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে একই দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত আটটা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাওসহ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, তারা পোষ্য কোটা বন্ধ এবং ঘোষিত সময়েই নির্বাচন চান। প্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনের ঠিক আগে প্রশাসন পোষ্য কোটা ফিরিয়ে এনে রাকসু নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। তাদের ভাষ্য, ’এসব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে।’
নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, প্রার্থীরা সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন।
রাকসুর ২৩টি পদে ২৪৭ জন, সিনেটে ৫৮ জন এবং হল সংসদে ৬০০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে ১১টি প্যানেল অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ৯টি আংশিক প্যানেল এবং ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দিয়েছে।
আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি একাডেমিক ভবনের ১৭টি ভোটকেন্দ্রে ৯৯০টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
আমার বার্তা/এল/এমই