ওপার বাংলার সংগীতশিল্পী লগ্নজিতা চক্রবর্তী। ‘চতুষ্কোণ’ ছবির বসন্ত এসে গেছে গানটি গেয়ে ঝড় তুলেছিলেন এই গায়িকা। তবে লাইভ শো-তে গায়িকার গান হামেশাই প্রশ্নের মুখে পড়েছে। কটাক্ষ করে বলা হতো, তার গান নাকি বেসুরে!
তবে নিজেকেও বেসুরে গায়িকা হিসেবে মনে করেন লগ্নজিতা। এবার সে বিষয় নিয়ে মন খুলে কথা বললেন গায়িকা।
সম্প্রতি সামজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন লগ্নজিতা। এই গায়িকা লেখেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকে কখনও রেওয়াজ করিনি। বাবা, গুরুরা অনেক চেষ্টা করেন, কিন্তু কোনোভাবে হয়নি। ২০১৪ থেকে পেশাদারভাবে গাইতে শুরু করলাম। তখন একটু রেওয়াজ করতাম, কিন্তু ওই একটু আধটু।
লগ্নজিতা লেখেন, ‘সেগুলো শুনতে শুনতে উপলব্ধি করলাম আমি কী অত্যন্ত খারাপ গাই। হাজার বেসুরো নোটস, অসংখ্য স্ট্যান্ডিং নোটস, টেল ড্রপস, শ্বাস নেওয়ার সমস্যা, আরও কত্ত কী!’
এই গায়িকা লেখেন, ‘আর অবাক হয়ে দেখতাম, আমরা সিনিয়র, জুনিয়র বা কলিগ সবাই কত্ত সুরে গায় আমার থেকে। এই ফ্যাসট্রেশন থেকে নিজের গানের ভিডিও দেখাই ছেড়ে দিলাম। কেউ চালালেও বিরক্ত হতাম। কারণ বেসুরো (নোট) গুলো আমার কানে ধামসা-মাদলের মতো বাজতো।
করোনার সময় সংগীতচর্চায় মন দেন লগ্নজিতা। কিন্তু কোনো উন্নতি না হওয়ায় রাগ করে রেওয়াজও ছেড়ে দিয়েছিলেন অনেকদিন- সেই পোস্টে উল্লেখ করেন গায়িকা।
এরপর লগ্নজিতা জানালেন, বাবা-মা'র কাছে এই প্রথম গায়িকা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন লগ্নজিতা। পোস্টে লগ্নজিতা উল্লেখ করেন, একটা অনুষ্ঠানে সলিল চৌধুরীর একটা গান গাওয়ার ছিল। বাবা-মাও ছিলেন শ্রোতা হিসাবে। ভিডিও তিনবার পরপর শুনলাম। আর অদ্ভুতভাবে একটাও বেসুরো খুঁজে পেলাম না। ২০১৪ থেকে শুরু করেছিলাম, ২০২৪ হয়ে গেল একটা পুরো গান সুরে গাইতে। ১০ বছর। আজ মা-বাবা প্রথমবার আমাকে শিল্পী হিসেবে স্বীকার করলেন। বললেন, আজ তোমার একটাও ভুল হয়নি।’
আমার বার্তা/এমই