বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত অস্ত্র রাশিয়ার ভেতরে আক্রমণের জন্য ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছেন বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। রয়টার্স, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস এবং নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাইডেন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তটি একটি বড় নীতিগত পরিবর্তন।
দুজন মার্কিন কর্মকর্তাসহ তিনটি সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেন শিগগির দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ভেতরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে প্রস্তুত।
বাইডেনের এই পদক্ষেপ এমন সময়ে এলো যখন তার মেয়াদ শেষ হতে আর মাত্র দুই মাস বাকি। আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্প এবং তার আসন্ন প্রশাসনের সদস্যরা ইউক্রেনকে ব্যাপক সমর্থন দেওয়ার ব্যাপারে সন্দেহপ্রবণ এবং তারা এই সিদ্ধান্তটি পরিবর্তন করবেন কি না তা এখনো পরিষ্কার নয়। ট্রাম্প আগেই দ্রুত যুদ্ধ সমাপ্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যদিও তিনি কীভাবে তা করবেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্মিত আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেমস ব্যবহার করতে যাচ্ছে, যার সর্বোচ্চ পাল্লা প্রায় ৩০৬ কিলোমিটার। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বেশ কিছুদিন ধরে এই অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতির জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন, বিশেষত রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ লক্ষ্যবস্তুতে হামলার জন্য।
ফরাসি সংবাদপত্র লে ফিগারো জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সও ইউক্রেনকে তাদের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার ভেতরে ব্যবহারের অনুমতি দেবে। আল জাজিরার কূটনৈতিক সংবাদদাতা জেমস বেজ জানিয়েছেন, এই পশ্চিমা দেশগুলোর লক্ষ্য ইউক্রেনকে সহায়তা করা, বিশেষ করে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে।
মস্কো এর আগে সতর্ক করেছিল, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনকে তার সরবরাহকৃত অস্ত্র রাশিয়ার ভেতরে ব্যবহারের অনুমতি দেয়, তাহলে তা একটি বড় ধরনের উত্তেজনা বৃদ্ধি হিসেবে দেখা হবে।
বাইডেন দীর্ঘদিন ধরেই মার্কিন অস্ত্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দিতে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন। তবে সম্প্রতি যুদ্ধের পরিস্থিতি রাশিয়ার দিকে মোড় নেওয়ার পর তার অবস্থান পরিবর্তিত হয়েছে। উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে সমর্থন দিতে কয়েক হাজার সেনা পাঠিয়েছে।
সূত্র: আল-জাজিরা