তামাকজাত দ্রব্যের কারণে পাকিস্তানে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১ লাখ ৬৪ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। সেইসঙ্গে দেশটির আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে ২.৫ বিলিয়ন ডলার। বিশাল এই ক্ষতি থেকে বাঁচতে দ্রুত তামাকজাত পণ্যের ওপর কর বাড়ানো জরুরি বলে অভিমত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও)।
বুধবার (২৮ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, তামাকজনিত রোগ এবং এর কারণে স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়ের কারণে প্রতি বছর প্রায় ৭০০ বিলিয়ন রুপি বা ২.৫ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে পাকিস্তান। তামাকজাত পণ্য যেই উৎপাদন করুক না কেন, সবার স্বাস্থ্যের জন্যই এটি অত্যন্ত ক্ষতিকর; বিশেষ করে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের জন্য এটি বড় ঝুঁকি তৈরি করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আগামী ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস সামনে রেখে তামাকজনিত স্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবিলায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
তারা বলেছে, তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার কমাতে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে কর বাড়ানো। এতে সরকারের রাজস্ব বাড়বে, যেটা স্বাস্থ্য ও উন্নয়ন খাতে ব্যয় করা যাবে। একইসঙ্গে অনেক মানুষের জীবনও রক্ষা করা যাবে। যদি এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে তামাক পাকিস্তানের জনস্বাস্থ্য ও অর্থনীতির জন্য বড় হুমকি হয়ে থাকবে। এর ফলে ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন করাও কঠিন হয়ে পড়বে দেশটির জন্য।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গবেষণায় দেখা গেছে যে তামাকজাত দ্রব্যে কর বাড়ালে একদিকে যেমন সরকারের আয় বাড়ে, অন্যদিকে মানুষের মধ্যে তামাকের ব্যবহার কমে। ফলে, একদিকে তামাকজনিত রোগও কমে আসে, অন্যদিকে স্বাস্থ্যখাতের ওপর চাপও হ্রাস পায়।
২০২৩ সালে পাকিস্তানে তামাকজাত পণ্যের ওপর কর বাড়ানোর পর তামাক ব্যবহারের হার ১৯.২ শতাংশ কমে গেছে দেশটিতে। ২৬.৩ শতাংশ ধূমপায়ী তাদের সিগারেট খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। একই সময়ে সিগারেট থেকে ফেডারেল এক্সাইজ ডিউটির আয় বেড়েছে ৬৬ শতাংশ।
আমার বার্তা/জেএইচ