ই-পেপার বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ৩১ আশ্বিন ১৪৩১

১২ বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হবে: সুপ্রিম কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক:
১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:৪৫
আপডেট  : ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:০৫

‘দলবাজ, দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টের দোসর’ বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিকভাবে হাইকোর্ট বিভাগের ১২ বিচারপতিকে আগামী রোববার (২০ অক্টোবর) হতে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহর সঙ্গে আলোচনার পর বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সামনে এসে এ ঘোষণা দেন আজিজ আহমদ ভূঞা।

তিনি বলেন, আমি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল হিসেবে আপনাদের যে দাবি, আপনাদের যারা লিডার আমার চেম্বারে বসেছেন; দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেছি। পরবর্তী পর্যায়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলেছি। সঙ্গে আমার দুইজন সহকর্মী ছিলেন। আপনারা জানেন, বিচারপতি পদত্যাগ বা অপসারণের একটা প্রক্রিয়া আছে। বর্তমানে দেশে এ সংক্রান্ত কোনো আইন বিদ্যমান নেই। বিগত সরকার সংসদের মাধ্যমে বিচারপতি অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছিল। একটা সংশোধনী হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট সেটা বাতিল করে দিয়েছেন। সরকার সেটা রিভিউ আকারে পেশ করেছে। আগামী রোববার (২০ অক্টোবর) সেটা প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত আপিল বিভাগে শুনানি হবে। এক নম্বর আইটেমে রাখা হয়েছে সেটা।

বিচারপতি অপসারণের বিষয়ে রেজিস্ট্রার জেনারেল বলেন, বিচারপতিদের পদত্যাগে আপনাদের যে দাবি, আসলে বিচারপতিদের নিয়োগকর্তা হচ্ছেন রাষ্ট্রপতি। পদত্যাগ বা অপসারণ; সেই উদ্যোগও রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে হয়ে থাকে। এখানে প্রধান বিচারপতির যেটা করণীয় উনি সেটা করেছেন। আপাতত ১২ জন বিচারপতিকে প্রাথমিকভাবে কোনো বেঞ্চ দেওয়া হচ্ছে না। বেঞ্চ না দেওয়ার অর্থ হলো, আগামী ২০ (অক্টোবর) তারিখ যে কোর্ট খুলবে, তারা বিচার কাজে অংশ নিতে পারবেন না। এই মামলাটার শুনানি আছে ২০ তারিখে। অ্যাটর্নি জেনারেল প্লেস করবেন বলে আশা করছি। এর মাধ্যমে পরবর্তী প্রক্রিয়াগুলো শুরু হবে। আর বিচারপতি অপসারণের সঙ্গে এককভাবে সুপ্রিম কোর্ট জড়িত না। রাষ্ট্রপতি, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাও জড়িত আছে। আপাতত ১২ জনকে বেঞ্চ দেওয়া হচ্ছে না। পর্যায়ক্রমে শুনানির মাধ্যমে বাকিগুলো আপনাদের সামনে আসবে।

পরে সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বিচারপতি অপসরাণের সংশোধনী নিয়ে মামলাটি চলমান। আগামী ২০ তারিখ ওই মামলায় যদি সমাধান চলে আসে, তাহলে বিচারপতি অপসারণের দায়িত্ব হচ্ছে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের। তাহলে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিচারপতিদের পদত্যাগ করতে হবে। অপসারণ করা হবে। এখন রোববার বিকেল পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করবো। আমরা অবজার্ভ করবো। তাদের অপসারণের জন্য কী রায় আসে। তারপর হচ্ছে আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ।

তিনি আরও বলেন, বিচারালয়ে গতকাল খুনি হাসিনার পুনর্বাসনের দাবিতে মিছিল হয়েছে। তাদের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের করার কিছু নেই।

২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের গ্রেপ্তার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দাবি জানান হাসনাত আবদুল্লাহ।

দুপুর থেকে হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি পালন শুরু করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এতে যোগ দেয় জাতীয় নাগরিক কমিটিও।

কর্মসূচিতে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ফ্যাসিস্ট বিচারপতিদের অপসারণের দাবির পাশাপাশি ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে তাদের নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছি। আওয়ামী প্যানেলের আইনজীবীদের অপসারণ করতে হবে। না হলে আমরা হাইকোর্ট চত্বর ছাড়ব না।

দুপুরে মিছিল নিয়ে হাইকোর্ট চত্বরে আসেন শিক্ষার্থীরা। সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বে দক্ষিণ গেট দিয়ে ঢুকে তারা হাইকোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে অবস্থান নেন। সঙ্গে ছিলেন আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম।

আদালত প্রাঙ্গণে হাসনাত-সারজিসসহ অন্য শিক্ষার্থীদের নানা স্লোগান দিতে শোনা যায়। আগে থেকেই সেখানে অবস্থান করে শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ। এর সঙ্গে হাইকোর্ট বিভাগের ‘দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ’ বিচারপতিদের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে বৈষম্যবিরোধী আইনজীবী সমাজ।

এই কর্মসূচি চলার মধ্যে বেশ কিছু বিচারপতি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এদের মধ্যে ছিলেন—বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান, বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন, বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান, বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলন।

গত ১০ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ডাকেই হাইকোর্টে জড়ো হন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে তাদের দাবির প্রেক্ষাপটে ওইদিনই পদত্যাগ করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি।

আমার বার্তা/এমই

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে মির্জা ফখরুলের রিভিউ আবেদন

দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে

স্ত্রীসহ সাবেক ৪ সংসদ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের চার সংসদ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। বুধবার (১৬ অক্টোবর) ঢাকার মহানগর

অভিযোগ ওঠা ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভের মুখে হাইকোর্টের আওয়ামীপন্থী ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধান

অনুতপ্ত নন ওসি প্রদীপ, দিন কাটাচ্ছেন ফাঁসিতে ঝোলার শঙ্কায়

ছিলেন ইয়াবা জোন টেকনাফের ওসি। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তুলে আনতেন যাকে-তাকে। টাকা দিলে ছাড়া পেতেন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে মির্জা ফখরুলের রিভিউ আবেদন

ফেসবুকে চাকরির লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে জিম্মি করে চাঁদা আদায়

নিত্যপণ্যের বাজার এখনও আওয়ামী সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে

সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে ডিওএইচএস থেকে গ্রেপ্তার

২০২৫ সালে বাড়ছে সরকারি ছুটি, খসড়া প্রস্তুত

আইসিসির হল অব ফেমে সাবেক ৩ তারকা

দল-মত নির্বিশেষে বাংলাদেশের সব মানুষ ফিলিস্তিনের পাশে আছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হেঁটে হেঁটে গ্রাফিতি দেখেছেন ড. ইউনূস

মতিয়া চৌধুরীর জানাজা বৃহস্পতিবার, দাফন বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে

তেজগাঁও ও কাপ্তান বাজারে রাতেই ২০ লাখ ডিম বিক্রি করবেন উৎপাদকেরা

১২ বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হবে: সুপ্রিম কোর্ট

নতুন করে ৪০ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ, গভীর উদ্বেগ ঢাকার

সাকিবকে নিয়েই মিরপুর টেস্টের দল ঘোষণা বিসিবির

স্ত্রীসহ সাবেক ৪ সংসদ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

রাজধানীতে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছাড়ল শ্রমিকরা, ৩ ঘণ্টা পর যান চলাচল

নাইজেরিয়ায় জ্বালানি ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণ, নিহত ৯০

জাহাজ শিল্পে কোরিয়ার বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ

সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর হওয়ার আহ্বান রিজভীর

৭৫ উপজেলায় নতুন প্রকল্পে প্রতি মাসে দরিদ্ররা পাবেন সহায়তা