ই-পেপার শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২

হাইকোর্ট বিভাগের চার বিচারপতির বিষয়ে তদন্ত চলমান

আমার বার্তা অনলাইন:
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৫৪
আপডেট  : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৫৯

ফ্যাসিস্টের দোসর ও অনিয়মের অভিযোগে বিচার কাজ থেকে বিরত রাখা ১২ বিচারপতির মধ্যে এখনও চার বিচারপতির বিষয়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে তদন্ত চলমান রয়েছে।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

এই ১২ জনের মধ্যে সর্বশেষ গত ৩১ আগস্ট বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান পদত্যাগ পত্র জমা দেন। তার এই পদত্যাগপত্র ৭ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ১৫ অক্টোবর রাতে ‘দলবাজ, দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টের দোসর’ বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে হাইকোর্ট ঘেরাও করতে ফেসবুকে ঘোষণা দেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের তৎকালীন সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম।

১৬ অক্টোবর দুপুরে মিছিল নিয়ে হাইকোর্ট চত্বরে আসেন শিক্ষার্থীরা। সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বে দক্ষিণ গেট দিয়ে ঢুকে তারা হাইকোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে অবস্থান নেন। সঙ্গে ছিলেন আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম।

এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে হাসনাত-সারজিসসহ অন্য শিক্ষার্থীদের নানা স্লোগান দেয়। আগে থেকেই সেখানে অবস্থান করে শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ। এর সঙ্গে হাইকোর্ট বিভাগের ‘দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ’ বিচারপতিদের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে বৈষম্যবিরোধী আইনজীবী সমাজ।

এই কর্মসূচি চলার মধ্যে বেশ কিছু বিচারপতি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আলোচনার পর ১৬ অক্টোবর বিকেলে ছাত্রদের সামনে এসে বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা (বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি)। বক্তব্যে বিচারপতি অপসারণের বিষয়ে রেজিস্ট্রার জেনারেল বলেন, বিচারপতিদের পদত্যাগে আপনাদের যে দাবি, আসলে বিচারপতিদের নিয়োগকর্তা হচ্ছেন রাষ্ট্রপতি।

পদত্যাগ বা অপসারণ; সেই উদ্যোগও রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে হয়ে থাকে। এখানে প্রধান বিচারপতির যেটা করণীয় তিনি সেটা করেছেন। আপাতত ১২ জন বিচারপতিকে প্রাথমিকভাবে কোনো বেঞ্চ দেওয়া হচ্ছে না। বেঞ্চ না দেওয়ার অর্থ হলো, ২০২৪ সালের ২০ (অক্টোবর) যে কোর্ট খুলবে, তারা বিচার কাজে অংশ নিতে পারবেন না।

বিচারপতিদের অপসারণ সংক্রান্ত ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় বহালের পর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত হয়। এরপর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল কার্যক্রম শুরু করে। অপর দুইজন হলেন, বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।

কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে এই কাউন্সিল যাচাই বাচাই করে রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ প্রেরণ করেন। সংবিধান অনুসারে, প্রধান বিচারপতি ও জ্যেষ্ঠ দুইজন বিচারপতির সমন্বয়ে এ কাউন্সিল গঠিত হয়। এরপর কয়েকজন বিচারপতির অপসারণের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে কাউন্সিল।

এক বার্তায় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন জানায়, ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট বিভাগের ১২ জন বিচারপতির বিষয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি তাদের বেঞ্চ প্রদান থেকে বিরত থাকেন। তাদের মধ্যে একজন (বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন) গত ৩০ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ্য করে নিজ স্বাক্ষরযুক্ত পত্রের মাধ্যমে পদত্যাগ করেন।

এছাড়া দুইজন বিচারপতি (বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম এবং বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলন) হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাননি। ২০২২ সালের ৩১ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে তারা নিয়োগ পেয়েছিলেন। ২০২৪ সালের ৩০ জুলাই তাদের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ না দিয়ে আরও ছয় মাসের জন্য অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। গত ৩০ জানুয়ারি তাদের সেই বর্ধিত মেয়াদও শেষ হয়।

অপর দুইজন বিচারপতি (বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান এবং বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস) ইতোমধ্যে অবসর গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান গত ৩০ ডিসেম্বর এবং বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস গত ৩০ জানুয়ারি তাদের চাকরিকালীন মেয়াদ পূর্ণ করে অবসরে যান।

এদিকে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর রাষ্ট্রপতি দুইজন বিচারপতিকে অপসারণ করেন। এর মধ্যে বিচারপতি খিজির হায়াতকে গত ১৮ মার্চ এবং বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে গত ২১ মে অপসারণ করা হয়। সর্বশেষ হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের পদত্যাগ পত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন। এখন অপর চার (৪) বিচারপতির বিষয়ে বর্তমানে কাউন্সিলের তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

আমার বার্তা/এল/এমই

বিচারপতি আক্তারুজ্জামানের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি

অনিয়মের অভিযোগে ছুটিতে পাঠানো হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শুক্রবার (১২

ডাকসুর আটক সেই ভিপি প্রার্থী মুচলেকা দিয়ে জামিন পেলেন

হত্যাচেষ্টার অভিযোগে শাহবাগ থানার মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) স্বতন্ত্র ভিপি (সহসভাপতি) প্রার্থী

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে শিক্ষকের ১০ বছরের কারাদণ্ড

পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে প্রাইভেট সেন্টারে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিদ্যালয়টির

ডাকসু নির্বাচনে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এমপি-মন্ত্রী হওয়ার জন্য পাগল হবেন না: গয়েশ্বর চন্দ্র

২০ শতাংশ অতিরিক্ত ভোটার কারা, প্রশ্ন অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তারের

যুক্তরাষ্ট্রে আলোচিত যত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড

ঝালকাঠিতে পোনাবালিয়ায় নিজের দোকানে তরুণের রহস্যজনক মৃত্যু

কুয়েতে বাংলাদেশিসহ সাত জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

বেতন-ভাতাসহ ৭ দফা দাবিতে এফপিএবি কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

আরব আমিরাতের ভিসার জটিলতা বেড়েই চলেছে

এবার সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ফলাফলের আশা দেখাচ্ছে নির্বাচন কমিশন

রাকসুতে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ, কাল চূড়ান্ত প্রার্থিতা প্রকাশ

তরুণ প্রজন্মের চোখে আজকের বাংলাদেশ গুজব, বিভ্রান্তি আর অনিশ্চয়তায় ভরা

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐক্যজোটের ৯ প্রস্তাব

ডাকসুতে ভরাডুবি নিয়ে হতাশা প্রকাশ এনসিপি নেতাদের

সীতাকুণ্ডে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেলো বৃদ্ধের

পুলিশের সাবেক ডিআইজি নাহিদুল ইসলাম গ্রেপ্তার

রোববার জাবির অ্যাকাডেমিক-প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ

চট্টগ্রামে পুলিশের অভিযানে কিশোরীকে অপহরণের দায়ে গ্রেপ্তার ৮

বিশ্বজুড়ে জন্মহার কমছে, তবে আতঙ্কের কিছু নেই

অনলাইন জুয়ায় টাকা হেরে কীটনাশক পান

টাঙ্গাইলে হা-ডু-ডু খেললেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা

চট্টগ্রাম বন্দরে মালামাল চুরির অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার