২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে দমনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপন চলছে।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের উপস্থাপিত যুক্তিতর্ক বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চতুর্থ দিনের শুনানি চলছে। প্যানেলের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
রোববার (১২ অক্টোবর) থেকে শুরু হয় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন। পরের দুই দিন (১৩ ও ১৪ অক্টোবর)ও তা বিটিভি ও অন্যান্য গণমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
এর আগে শনিবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামীম জানান, ট্রাইব্যুনালের অনুমতি নিয়ে যুক্তিতর্ক সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। তিনি বলেন, রাষ্ট্র ও আসামি উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হলে মামলাটি রায়ের পর্যায়ে যাবে।
গত বুধবার (৮ অক্টোবর) ৫৪তম সাক্ষী ও তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরের জেরা শেষে ট্রাইব্যুনাল যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য রোববার দিন ধার্য করেন। এই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন গণঅভ্যুত্থানের প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবা, স্বজনহারা পরিবারের সদস্যরা এবং ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে জুলাই আন্দোলনের নেতা নাহিদ ইসলাম ও দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ মোট ৫৪ জন সাক্ষী।
মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এস এইচ তামীম। পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন, আর রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী জায়েদ বিন আমজাদ।
আমার বার্তা/এল/এমই