বাংলাদেশের নারীরা প্রতিনিয়ত সাইবার হামলা বা সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। নারীদের প্রতি সাইবার সহিংসতা প্রতিরোধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র (বিআইসিসি) ইউএনডিপি বাংলাদেশের ‘কমবেটিং সাইবার ভায়োলেন্স অ্যাগেইনস্ট উইমেন’ প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
কোরিয়া সরকারের সহযোগিতায় সিউল পলিসি সেন্টারের সঙ্গে যৌথভাবে সংলাপটি আয়োজন করা করে জাতিসংঘের উন্নয়ন সংস্থা ইউএনডিপি।
বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক সাইবার সহিংসতা মোকাবিলায় কোরিয়া সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘কোরিয়ান সরকার সাইবার সহিংসতা মোকাবেলায় বাংলাদেশে চলমান সব প্রচেষ্টাকে সমর্থনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই প্রকল্পটি এই সাইবার সহিংসতা প্রতিরোধে গুরুত্ব দিয়ে আসছে।’
নিরাপদ ডিজিটাল স্পেস তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ইউএনডিপি বাংলাদেশের প্রশংসা করেন কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত।
ইউএনডিপি বাংলাদেশের ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ সোনালি দয়ারত্নে বলেন, ‘সাইবার সহিংসতায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ নারীদের রক্ষায় প্রকল্পটি ভূমিকা রাখছে। নিরাপদ ডিজিটাল পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য প্রকল্পটি অবদান রেখেছে। এ ধরণের প্রকল্প নারীদের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।’
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রকল্পের মাধ্যমে ত্রিশ লাখের বেশি মানুষকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষপভাবে সচেতন করা হয়েছে। স্টেকহোল্ডাররা অনলাইন স্পেসগুলিতে নারী এবং মেয়েদের সুরক্ষার জন্য টেকসই অংশীদারিত্ব, নীতি সংস্কার এবং সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
আমার বার্তা/এমই