গত বছরের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রজনতার ওপর সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
শনিবার (১০ মে) বিকেলে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ-২০২৫’-এর দ্বিতীয় খসড়া নিয়ে মতবিনিময় সভায় বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ট্রুথ জাস্টিস কমিশন অথবা ট্রুথ রিকনসিলিয়েশন কমিশনের খুব দরকার। এটা সম্ভবত আমাদের দেশে ১৯৭২ সাল থেকে থাকলেই ভালো হতো। আমরা সবকিছুই খুব প্রফেশনালভাবে নিষ্পত্তি করতে চাই।...আমরা ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন করব।’
তিনি বলেন, ‘এ লক্ষ্যে আমি এবং প্রধান উপদেষ্টা টিম নিয়ে সাউথ আফ্রিকা যাচ্ছি।’
গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশের বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা এ আইনটা যত ভালো করে করা যায় তেমনভাবেই করব। সব পরামর্শই বিবেচনায় থাকবে। আমরা আইনটা করে যেতে চাই। কারণ, পরের সরকার এটা করবে কি না, আমরা নিশ্চিত নই।’
অতীত অপরাধকে কীভাবে এ আইনের আওতায় আনা যায় সে বিষয়ে জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা দোষীদের সাজার ব্যবস্থা করতে বদ্ধপরিকর।’
পরবর্তী সরকার গুমের কোনো আইন করলেও সেটা শক্তিশালী করবে কি না, সন্দেহ প্রকাশ করে আসিফ নজরুল বলেন, আমরা এ আইনটা খুব শক্তিশালী করতে চাই। এখানে যে কমিশন আছে সেটাও খুব শক্তিশালী করতে চাই। কারণ, আমরা এটাও কনফার্ম না যে পরবর্তী সরকার গুমের কোনো আইন করলেও সেটা শক্তিশালী করবে কি না।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, আইনজীবীসহ বিশিষ্ট ব্যাক্তিরা। তারা এই অধ্যাদেশের দ্বিতীয় খসড়ার বিভিন্ন অস্পষ্টতা এবং সংশোধনযোগ্য ভুলগুলো তুলে ধরেন। বলেন, এই ইস্যু সমাধান না করতে পারলে এই রাষ্ট্র অস্থিতিশীল হবে। জনগণের মনে তৈরি হবে ভীতি।
আমার বার্তা/এমই