রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তিনদিন ধরে অবস্থান নেওয়া এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা আপাতত লংমার্চ করবেন না বলে জানিয়েছেন। তবে সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছেন তারা। ঘোষণা অনুযায়ী, আজ মঙ্গলবার বিকেল তিনটার মধ্যে দাবি না মানলে চারটা থেকে সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ শুরু করবেন তারা।
আজ দুপুরে আন্দোলনকারী ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’-এর সদস্যসচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি জানান, বিকাল তিনটা পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে সরকারকে। যদি তিন দফা দাবি এই সময়ের মধ্যে মেনে নেয়, তাহলে আর লংমার্চ করবেন না শিক্ষক-কর্মচারীরা। আর যদি তিনটার মধ্যে না মেনে নেওয়া হয় তাহলে বিকাল চারটা থেকে আবার ‘লংমার্চ টু সচিবালয়’ পালন করা হবে।
আন্দোলনকারীদের তিনটি দাবি হলো—মূল বেতনের ২০ শতাংশ (ন্যূনতম তিন হাজার টাকা) বাড়িভাড়া। শিক্ষক ও কর্মচারী উভয়ের জন্য চিকিৎসা ভাতা দেড় হাজার টাকা করা। কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করা।
এই তিন দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তিনদিন ধরে অবস্থান করছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। দাবি আদায়ে আজ বেলা ১২টায় সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ শুরুর কথা ছিল তাদের। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর অনুরোধে তারা লংমার্চ কর্মসূচি পিছিয়ে সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছেন।
দেলাওয়ার হোসেন আজিজী গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টার পক্ষ থেকে দেওয়া আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছি আমরা। আমাদের একটাই দাবি, প্রজ্ঞাপন দিতে হবে। কোনো আলোচনার আর সুযোগ নেই।
এর আগে দুপুর পৌনে ১২টায় পুলিশের রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদ আলমসহ একটি দল শহীদ মিনারে আসে। তারা শিক্ষকদের লংমার্চ পেছানোর জন্য অনুরোধ করে। এ সময় শিক্ষকনেতা দেলোয়ার হোসেনের মুঠোফোনে একটি কল আসে। পরে তিনি বলেন, এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ তাঁকে কল করে লংমার্চ কর্মসূচি পেছানোর অনুরোধ জানিয়েছেন।
দেলাওয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের প্রশাসন জানিয়েছে, তারা দাবি মেনে নেবে। তবে প্রজ্ঞাপন জারি হতে কিছুটা সময় লাগবে। আমরা যাতে লংমার্চ কর্মসূচি পালন না করি। বিষয়টি নিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহও আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তবে আমরা জানিয়েছি, প্রজ্ঞাপন ছাড়া লংমার্চ প্রত্যাহারের সুযোগ নেই।
উল্লেখ্য, এর আগে আন্দোলনের প্রথম দিন এমপিও শিক্ষকদের আন্দোলন কঠোরভাবে দমন করে পুলিশ। ব্যাপক মারধর করা হয় শিক্ষক-কর্মচারীদের। এতে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়।
আমার বার্তা/এমই