ই-পেপার রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

মানুষের জীবন ও ব্যক্তিগত সম্পদের নিরাপত্তা নেই: জিএম কাদের

অনলাইন ডেস্ক:
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:০৮

দেশে মানুষের জীবন ও ব্যক্তিগত সম্পদের নিরাপত্তা নেই। দেশের শাসনকার্যে দৃশ্যমান ব্যর্থতা পরিলক্ষিত হচ্ছে, শাসনকার্য ভালোভাবে চলছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধীদল নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিকেলে আইডিইবি মিলনায়তনে জাতীয় যুব সংহতির পরিচিতি সভা ও ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

জিএম কাদের আরও বলেন, আইনের শাসনের মধ্যে দুটি প্রধান বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। এরমধ্যে আইনের চোখে সবাই সমান ও শিষ্টের পালন এবং দুষ্টের দমন। সরকারি দলের মানুষ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্নভাবে বিচার বা শাস্তি এড়িয়ে যাচ্ছেন। এঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক। এপর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো মামলা কী হয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে? সরকার পরাজিত হতে চাননি কিন্তু মামলায় সরকার পরাজিত হয়েছেন এমন ঘটনা কী ঘটেছে? আমার জানা নেই। যাকেই জিজ্ঞাসা করেছি কেউ বলতে পারেনি। অনেকেই বলেছে হয়নি।

তিনি বলেন, সরকারের সাথে কিছু লোক আইনের ঊর্ধ্বে অবস্থান করছে। সাধারণ মানুষের ধারণা, বর্তমান সময়ে দুষ্টের পালন ও শিষ্টের দমন হচ্ছে। প্রতিদিনই দেশে বৈষম্য বাড়ছে, সরকারিভাবেই বৈষম্য তৈরি করা হচ্ছে। সুবিধাবাদী একটি গোষ্ঠীকে নিয়ে সুবিধাভোগী গোষ্ঠী তৈরি করা হচ্ছে। তারা সরকারের সমর্থন করছে এবং ক্ষমতার প্রভাবে জনগণের উপর নির্যাতন নিপীড়ন করছে। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা না হলে সুশাসন আশা করা যায় না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণই দেশের মালিক, জনগণই শাসক নির্বাচন করবে ও পরিবর্তন করবে। এমন অবস্থায় আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান এটা নিশ্চিত করা যায় এবং বৈষম্যহীন সমাজও প্রতিষ্ঠা করা যায়।

তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক সমাজে জবাবদিহিতা থাকে। কেউ ইচ্ছা করলেই জবাবদিহিতা এড়িয়ে নিজস্ব বা গোষ্ঠী স্বার্থ উদ্ধার করতে পারে না। জবাবদিহিতার কারণেই দুর্নীতি ও দুঃশাসন কায়েম হতে পারে না। গণতান্ত্রিক সমাজে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় না। আমরা এমন একটি গণতান্ত্রিক সমাজ কামনা করছি।

গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় দ্বিতীয় নিবাস গড়েছেন ৫৬ হাজার ৬৬ জন। এর মধ্যে ৩ হাজার ৬০৪ জন বাংলাদেশি। বিশেষ বিবেচনায় বৈধভাবে বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে এমন বিনিয়োগের অনুমোদন পেয়েছে ১৭ প্রতিষ্ঠান। তবে এরপর থেকে ডলার-সংকটের কারণে বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে অনুমোদন পেয়েছে পাঁচটি কোম্পানি। তবে বিদেশে দ্বিতীয় নিবাস গড়ার জন্য কাউকে বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাহলে বাংলাদেশিরা কীভাবে মালয়েশিয়া দ্বিতীয় নিবাস গড়ল। কীভাবে টাকা নিয়ে গেল প্রশ্ন তোলেন জাপা চেয়ারম্যান।

দেড় লাখ ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজার ইতোমধ্যেই অকেজো হয়ে পড়েছে। এতে রাষ্ট্রের ক্ষতি হয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা। ১০ বছর মেয়াদি ক্রয়কৃত ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ৫ বছরেই শেষ। বাকি ৪০ হাজার ভোটিং মেশিনও অকেজো হওয়ার পথে। বেশির ভাগ ইভিএমেই এখন অকেজো। শেষ পর্যন্ত ৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের অধীন কেনা ইভিএম সম্পদের বিলুপ্তি ঘটতে যাচ্ছে। সরকার যে অর্থ ব্যয় করে, তা হচ্ছে সাধারণ মানুষের অর্থ। অর্থ ব্যবহারে ব্যাপকভাবে দুর্নীতি ও অপচয় করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, কক্সবাজারের মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আমদানি করা জার্মানির তৈরি দুটি পাইপ কাটারের দাম দেখানো হয়েছে ৯২ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। একইভাবে জার্মান কোম্পানির দুটি হাতুড়ির দাম দেখানো হয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার টাকা। এসব পণ্যের এমন অস্বাভাবিক দাম দেখে চালানটি আটকে দেয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তারপর এসব পণ্য আমদানিকারক সিপিজিসিবিএল ও পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, শুধু এই দুটি পণ্য নয়, এই চালানের ১৯টি পণ্যই অযৌক্তিক উচ্চমূল্যে আমদানি করা হয়েছে।

জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি ও জাতীয় পার্টির ভাইস-চেয়ারম্যান এইচ এম শাহারিয়ার আসিফের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, ড.নূরুল আজাহার শামীম,নুরুল ইসলাম তালুকদার, মো. খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস-চেয়ারম্যান সফিউল্লাহ শফি, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, মো. বেলাল হোসেন, অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ ভাসানী, সম্পাদক মণ্ডলের সদস্য- এম এ রাজ্জাক খান, মো. মিজানুর রহমান মিরু প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যুবসংহতির সাধারণ সম্পাদক আহাদ ইউ চৌধুরী শাহিন।

আমার বার্তা/এমই

এখনো কাজে না ফেরা পুলিশ সদস্যদের বাদ দিয়ে নতুন নিয়োগের দাবি

পুলিশ প্রশাসনের যেসব সদস্য এখনো কাজ যোগ দেননি তাদেরকে অবসরে পাঠিয়ে নতুন লোক নিয়োগ দেওয়ার

একাত্তরের মীমাংসিত বিষয় নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই: রব

জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ‘৭১ সালের মার্চ মাসেই স্বাধীনতার ইশতেহারে স্বাধীন 

ভারত শেখ হাসিনার জমিদারি ফেরত দিতে কাজ করছে: রিজভী

ভারত বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পক্ষে নয় বরং শেখ হাসিনার ‘জমিদারি’ ফেরত দিতে কাজ করছে বলে মন্তব্য

এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আনার চেষ্টা, খালেদা জিয়াকে যে দেশে নেওয়া হতে পারে

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস ও কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মিয়ানমার থেকে আরও ৫০০ রোহিঙ্গা পালিয়ে এলো বাংলাদেশে

অন্তর্বর্তী সরকারের এক মাস : অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ

ফিজিওথেরাপির গুরুত্ব জানুন

৮ সেপ্টেম্বর ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা

তারাবো বিএনপির সমাবেশে শত শত নেতাকর্মী নিয়ে যুবদল নেতা আফজাল কবির ও আরিফ

কোনাবাড়ীতে ছাত্রকে গুলি করে হত্যা মামলায় কনস্টেবল গ্রেপ্তার

হাসিনাকে নিয়ে ইউনূসের সাক্ষাৎকার ভালোভাবে নেয়নি ভারত

রূপগঞ্জে সন্ত্রাস চাঁদাবাজি নৈরাজ্য ঠেকাতে বিএনপির সমাবেশ

হোমনায় মা-ছেলেসহ তিন জনকে হত্যা করেন সুমন

নিম্ন আদালত মনিটরিংয়ের দায়িত্বে হাইকোর্টের ১৩ বিচারপতি

গোপালগঞ্জের আ.লীগ নেতা ভারতে গ্রেপ্তার

রূপালী ব্যাংকের রাজশাহী বিভাগীয় ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

এখনো কাজে না ফেরা পুলিশ সদস্যদের বাদ দিয়ে নতুন নিয়োগের দাবি

দেশের প্রকৃত রিজার্ভ ২০.৫০ বিলিয়ন ডলার: গভর্নর

জবির ছাত্রী হলে ৯ ছাত্রলীগ কর্মীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

ডেঙ্গুতে আরো ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৪০৩

বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা ও নতুন দৃষ্টিকোণ

একাত্তরের মীমাংসিত বিষয় নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই: রব

গজারিয়ায় অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে নয় গ্রাম

আরএমপির দায়িত্ব নিলেন নতুন কমিশনার আবু সুফিয়ান