বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলন ছিল স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। এটি শুধু গণতান্ত্রিক অধিকার নয়, অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন।
বুধবার (১ জানুয়ারি) ১১টায় শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
তিনি বলন, সে আন্দোলনে দেশের ছাত্রদের সঙ্গে আমরা বিএনপি শুধু নয় বাংলাদেশের সকল গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দল, ছাত্রদল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। তারা কিন্তু কোন রাজনৈতিক পরিচয়ে সেখানে যায়নি তারা গিয়েছিল ছাত্র পরিচয়ে।
বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে, অনেকে বলেন দ্বিতীয় স্বাধীনতা, আমরা বলি মানুষের মুক্তির যে আন্দোলন, জুলাই-আগস্টের সে আন্দোলনে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা কাপুরুষের মত দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের যে এই ইতিহাস, সেই ইতিহাস কিন্তু আজকের নতুন কোন ইতিহাস নয়। ১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে তখনকার পাকিস্তান গভর্নর জেনারেলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল।
নতুন বছরের প্রত্যাশা জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদেরও বলেন, এইকথা বলার অপেক্ষা রাখে না, এই দেশ কিন্তু নতুন প্রজন্মের দেশ৷ তারা এই দেশের নেতৃত্ব ভবিষ্যতে গ্রহণ করবে এটা কিন্তু কারো বলে দেয়ার অপেক্ষা রাখে না৷ এটাই প্রকৃতির নিয়ম, একজন যাবে, আরেকজন আসবে। এই আত্মবিশ্বাস বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের কাছে আমাদের রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই নতুন প্রজন্ম সত্যিকার অর্থে সুশিক্ষিত হতে ক্লাসরুমে ফিরে যাবে। যারা লেখাপড়া সম্পন্ন করেনি তারা সম্পন্ন করবে। দেশ পরিচালনার যে গুরুদায়িত্ব তার জন্য প্রস্তুতি নিবে৷ তারা প্রস্তুতি নিয়ে এসে, জনগণের ভোট নিয়ে এই দেশ সঠিক পথে, ন্যায়ের পথে,সত্যের পথে পরিচালনা করবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
আমার বার্তা/জেএইচ