কেউ হাতে ফুল, কেউ ব্যানার-প্ল্যাকার্ড, আবার কেউ-বা খালেদা জিয়ার ছবিসংবলিত টি-শার্ট পরে। ‘খালেদা জিয়ার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’, ‘খালেদা জিয়া ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘তারেক রহমান’—এমন নানা স্লোগানে মুখর পুরো বিমানবন্দর সড়ক। ফিরে আসছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, নেতা-কর্মীরা উচ্ছ্বসিত।
দীর্ঘ চার মাস চিকিৎসা শেষে যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার পর দেশে ফিরেছেন খালেদা জিয়া। সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে কাতারের রাজপরিবারের বিশেষ উড়োজাহাজ (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পরে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে তার গাড়িবহর বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
বিমানবন্দর থেকে গুলশানের ফিরোজা পর্যন্ত সড়কের দু’পাশে সকাল থেকেই জড়ো হতে থাকেন বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী। হাতে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা, কণ্ঠে নানান স্লোগান। দলের নেতারা বলছেন, এ স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রমাণ করে দলের প্রতি নেতা-কর্মীদের অগাধ ভালোবাসা ও আস্থা।
তবে যেন কোনো বিশৃঙ্খলা না হয়, সে জন্য আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিল দল। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতা-কর্মীদের সড়কে ভিড় না করে ফুটপাতে অবস্থান নেওয়ার নির্দেশনা দেন। পুরো পথজুড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সেলিমা রহমান।
এ সফরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরেছেন তাঁর দুই পুত্রবধূ—তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান এবং আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান।
এছাড়া ছিলেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বোর্ডের প্রধান শাহাবুদ্দিন তালুকদার, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এনামুল হক চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, লন্ডন বিএনপির সভাপতি এম এ মালেকসহ আরও ১৪ জন।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর খালেদা জিয়ার এই প্রত্যাবর্তন শুধু রাজনৈতিক অঙ্গনে নয়, দলের নেতাকর্মীদের আবেগ-অনুভূতিতেও নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
আমার বার্তা/জেএইচ