কুমিল্লার মুরাদনগরে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে দরজা ভেঙে ধর্ষণের তোলপাড় করা ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি আওয়ামী লীগ নেতা বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আওয়ামী লীগ নেতা ধর্ষণ করলেও সেটা বিএনপির ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। পতিত আওয়ামী লীগ দেশের সরকার ও জনগণকে স্থিতিশীল থাকতে দিতে চায় না বলেও মন্তব্য করেন রিজভী।
রোববার (২৯ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ১ জুলাই থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত বিএনপির কর্মসূচি থাকবে। অংশ নেবেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার (৩০ জুন) মধ্যরাতে শহীদ মিনারে ছাত্রদল ফুল দেবে।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘ভোট, নির্বাচন এবং ক্ষমতায় আসার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না জুলাই গণঅভ্যুত্থান। আমাদের হয়তে কিছু কিছু বিষয়ে মনোমালিন্য থাকতে পারে, কিন্তু দেশের স্বার্থে সমস্ত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলকে এক সঙ্গে থাকতে হবে, এক কাতারে থাকতে হবে। ক্ষমতায় এসে শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকার, জনগণকে স্থিতিশীল রাখতে দিতে চায় না পতিত স্বৈরাচারী সরকার।
আওয়ামী লীগের এক নেতা কুমিল্লায় ধর্ষণ করে বিএনপির ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। হঠাৎ করে এমন ঘটনা ঘটছে না, ওরা একটা নেটওয়ার্ক তৈরির চেষ্টা করছে। কারণ ওদের কাছে আছে প্রচুর পরিমাণ অবৈধ টাকা, সেই টাকা ব্যয় করে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। সরকারের উচিত ছিল এদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা। সরকারের ধীর পদক্ষেপের কারণেই এমন ঘটনা ঘটছে।’
এ সময় মুরাদনগরের ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান রিজভী।
এসময় বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, শামা ওবায়েদ, ড. মোর্শেদ হাসান খান, আমিনুর রহমান রুমন প্রমুখ।
আমার বার্তা/জেএইচ