
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে অত্যন্ত জটিল ও সংকটময় সময় পার করছেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
ডা. জাহিদ বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার সহধর্মিনী ডা. জুবাইদা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে দ্বিতীয়বারের মতো এভারকেয়ার হাসপাতালে এসে তার মা বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে যান। দীর্ঘ সময় তিনি মায়ের শয্যার পাশে অবস্থান করেন।
একজন সন্তান হিসেবে মায়ের প্রতি তার মমত্ববোধ সেখানে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন রাত ১০টার দিকে মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বোর্ডে ডা. জুবাইদা রহমানসহ যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকরা অনলাইনে যুক্ত থাকেন এবং দেশের অভিজ্ঞ চিকিৎসকরাও উপস্থিত থাকেন। মেডিকেল বোর্ডের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।
ডা. জাহিদ জানান, বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী তার চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে এবং মেডিকেল বোর্ড সার্বক্ষণিকভাবে বিষয়টি তদারকি করছে।
ডা. জাহিদ বলেন, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ২৩ নভেম্বর তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভর্তি হওয়ার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। সে কারণে তাকে কেবিন থেকে সিসিইউ এবং পরে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি আইসিইউতেই চিকিৎসাধীন।
তিনি বলেন, আজ তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে, এমনটি বলার সুযোগ নেই। তার অবস্থা এখনো অত্যন্ত জটিল এবং তিনি একটি সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন।
চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা এবং মহান আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে তিনি যদি এই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারেন, সেই কামনাই আমরা করছি।
তিনি বলেন, চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য প্যারামেডিক্যাল স্টাফরা অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। এজন্য তারেক রহমান ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে।
এসময় দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে বলেন, এই হাসপাতালে ভর্তি অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসায় যেন কোনো ধরনের ব্যাঘাত না ঘটে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। অপ্রয়োজনীয় ভিড় বা অতিউৎসাহী কোনো কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে যেন হাসপাতালের স্বাভাবিক চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত না হয়, সে বিষয়ে নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ডা. জাহিদ জানান, বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য তার পরিবার, বিশেষ করে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে। দেশবাসী যে নিয়মিত তার জন্য দোয়া করছেন, সেজন্য কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করা হয়েছে।
আমার বার্তা/এমই

